সাদ্দাম ইমন ॥
টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি মুসলমানরা শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। এ রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবেও পরিচিত। এ রাতে বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোরে ফজরের নামাজ শেষে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে পবিত্র লাইলাতুল বরাতকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের প্রতিটি মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় দেখা গেছে। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষে এশার নামাজের পর থেকে মসজিদগুলোতে ভীড় বাড়তে থাকে। রাত যতই গভীর হবে, ততই মুসুল্লীদের মসজিদে আসা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ও উপজেলার বিভিন্ন কবরস্থানগুলোতে জিয়ারত করতে আসা প্রয়াতদের স্বজনদের ভিড়ও দেখা গেছে। মূলত সন্ধ্যার পর থেকে মুসল্লিরা মসজিদ ও কবরস্থানগুলোতে ভিড় করা শুরু করেন।
জানা যায়, পবিত্র শবে বরাত ১৪৪৫ হিজরি উপলক্ষ্যে টাঙ্গাইল জেলার সর্বত্রই মসজিদগুলোতে রাতভর দোয়া মাহফিল, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত, ওয়াজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটাবেন। মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুসলমানরা বিশেষ মোনাজাত করবেন। এদিন নফল ইবাদতের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি ও ক্ষমা লাভের আসায় সবাই নামাজ পড়েন ও কোরআন তেলাওয়াত করেন।
সন্ধ্যার পর টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন মসজিদে দেখা যায়, মুসল্লিরা দলে দলে নফল ইবাদত করছেন। বিভিন্ন মসজিদে বয়ান হচ্ছে, মুসল্লিরা তা শুনছেন। এছাড়া দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়া স্বজনদের রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করছেন অনেকে। টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, বেবীস্ট্যান্ড মসজিদ, কলেজ পাড়া নূরানী জামে মসজিদ ছাড়াও বিভিন্ন মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীদের উপচেপড়া ভীড় দেখা গেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান ঘুরে দেখা গেছে- আলোকসজ্জা করা হয়েছে কবর জিয়ারতে আসা মানুষের সুবিধার্থে।
এদিকে দিনটিকে কেন্দ্র করে পটকা, আতশবাজি কিংবা কোনো ধরনের বিস্ফোরক যেন ফোটানো না হয় সেজন্য বিশেষ দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসন। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, আমরা দিনটিকে কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যেন মানুষ নিরাপদে ইবাদত বন্দেগী করতে পারে। কোনো ধরনের হুমকির আশঙ্কা নেই।