
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থাটা সারাদেশের গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে দেয়া। সরকারের লক্ষ্য একটাই, যদি প্রতিটি হেলথ কমপ্লেক্স বা জেলার হাসপাতালগুলোকে সাবলম্বি করে গড়ে তুলতে পারলে, গ্রামগঞ্জের কোন রোগী চিকিৎসা নিতে ঢাকা বা চিটাগাংসহ বড়বড় শহরে ভীড় করবে না। প্রধানমন্ত্রী ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসায় গাফিলতির ঘটনা ঘটলে জিরো টলারেন্স দেখাতে বলেছেন। কোনো ভুল চিকিৎসা, কোনো গাফিলতি যদি হয়, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে বলেছেন। যাতে কোন রোগী চিকিৎসক দ্বারা ভূল চিকিৎসার শিকার না হন। মানুষের চিকিৎসা সেবা নিতে যাতে কোন বিড়ম্বনা না হয়, সেই লক্ষে কাজ করছি। গ্রামে চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় কাজ করছেন। গ্রামে কেন চিকিৎসক থাকতে চায়না তার কারণ খুঁজে বের করা হবে। রোগীর সুচিকিৎসার পাশাপাশি আমাকে চিকিৎসকের নিরাপত্তার কথাও ভাবতে হবে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি মন্ত্রী হবো, এটা কখনও ভাবিনি। মন্ত্রী হয়েছি দেড় মাস হয়েছে। কাজ শুরু করছি। অনেক কিছু দেখতে পাচ্ছি। আমি একদম গ্রাম থেকে উঠে আসছি। আমার জীবন শুরু হয় বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র থেকে। সেখানে মেডিকেল অফিসার ছিলাম। আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসছি। এখনকার মত উন্নত ছিলো না। আমার প্রথম লক্ষ্যই হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। আমি যেন চিকিৎসা ব্যবস্থাটা সারা বাংলাদেশে গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে দিতে পারি। এছাড়া হাসপাতালের পরিবেশ ভালো করা এবং সাধারণ মানুষ যেন গ্রামে বসেই চিকিৎসা পান। সারাজীবন হাসপাতালে কাজ করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি জানি, একজন গরিব মানুষ ঢাকা শহরে এলে কী বিড়ম্বনা পান, সেটা আমার থেকে ভালো কেউ জানেন না। মন্ত্রী কুমুদিনী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনে রোগীদের সাথে কথা বলেন, চিকিৎসা ঠিকঠাক মতো হচ্ছে কিনা তার খোঁজ নেন। পরিদর্শনকালে কুমুদিনীর ব্যবস্থাপনা ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) এর ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
এরআগে সকালে মন্ত্রী কুমুদিনী হাসপাতালে পৌছলে তাকে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা: আব্দুল কুদ্দুছ, ভারতেশ্বরী হোমসের পরিচালক সস্পা সাহা, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক প্রদীপ কুমার রায়, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হালিম স্বাগত জানান। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম, মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।