
আরিফুল ইসলাম, বাসাইল ॥
আমার কথা বলার ভাষা নেই, আমি কথা বলতে পারতেছিনা, আমি কেমন করে চলবো। গাভীর দুধ বিক্রি করে আমার সংসার চলতো। আমার স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার শেষ সম্বল আগুনে পুড়ে গেছে। এভাবেই কথা গুলো বলছিলেন টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের জিকাতলীপাড়া গ্রামের ভজন মন্ডল। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ভোর রাতে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের জিকাতলীপাড়া গ্রামে ভজন মন্ডলের গরুর খামারে আগুন লাগে। এতে করে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের গাভী ও একটি বাছুর মারা যায়। আরও একটি ফ্রিজিয়ান জাতের আড়াই লাখ টাকা মূল্যের গাভী ও একটি বাছুর মারাত্মকভাবে আহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার দিকে তার গরুর খামারে আগুন লাগে। বাড়ির মানুষের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন আগুন নিভানোর জন্য ছুটে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই একটি গাভী ও একটি বাছুর মারা যায়। এ সময় অপর একটি গাভি ও একটি বাছুরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গাভীর দুধ বিক্রি করেই তার সংসার চলতো। ঋণ করে ভজন গরুর খামার করেছিল। প্রতিদিন বাজারে ৫০-৬০ কেজি দুধ বিক্রি করতো।
খামারি ভজন মন্ডল বলেন, ঋণ করে গরুর খামার করেছিলাম। পরিবারে ৬জন মানুষ এখন আমি কিভাবে চলবো। আমার কথা বলার ভাষা নাই। গাভীর দুধ বিক্রি করেই আমার সংসার চলে। ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো। আমার স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শেষ সম্বল টুকুও রইলো না। আমি গরু ছাড়া কিছু বুঝি না। আমার মেয়ে বলছিল গরু কিনতে তাই গরু কিনেছিলাম। বেকার বসে না থেকে গরু পালন শুরু করেছিলাম। প্রতিদিন ভালোই দুধ বিক্রি করতাম। সংসার আমার ভালোই চলতো। আগুনে আমার সব শেষ করে দিলো। কিভাবে আগুন লেগেছে বলতে পারবো না। আগুনে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের গাভী ও একটি বাছুর মারা গেছে। আরও একটি ফ্রিজিয়ান জাতের আড়াই লাখ টাকা মূল্যের গাভী ও একটি বাছুর মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তিনমাস আগে দুইটি গরুর বাচ্চা হয়েছিল।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আল মামুন জানান, ভজন মন্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ক্ষতিগ্রস্ত ভজন মন্ডলের বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আমার কথা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।