
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার কৃষক মাসুদ মিয়া একই জমিতে একসঙ্গে আলু, ভুট্টা ও সুর্যমুখী চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে সমন্বিত পদ্ধতিতে সময় ও খরচ অনেকটাই কমেছে। এতে তিনি অধিক লাভবান হচ্ছেন। সমন্বিত পদ্ধতিতে চাষাবাদ পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে দেয়া হবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্বুদ্ধকরণে গয়হাটা ইউনিয়নের নয়পাড়া গ্রামের কৃষক মাসুদ মিয়া একই জমিতে আলু, ভুট্টা ও সুর্যমুখী চাষ করে সফল হয়েছেন। কৃষক মাসুদ মিয়া জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে তিনি প্রথমে জমি তৈরী করে তাতে সুর্যমুখী ও আলুর বীজ রোপন করেন। বীজ রোপনের এক মাস পর তিনি একই জমিতে ভুট্টার বীজ রোপন করেন। এক সাথে তিন ফসল চাষ করায় তার জমিতে খরচ অনেকটাই কম হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আলুর ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারে আলুর দাম ভালো থাকায় তিনি অধিক লাভবান হয়েছেন। এছাড়াও সুর্যমুখীর বীজ বিক্রি করেও তিনি লাভবান হয়েছেন। আগামীতে তিনি আরো বেশী পরিমানের জমিতে এই পদ্ধতিতে একই জমিতে একাধিক ফসল চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
কৃষক মাসুদ মিয়ার এই সফলতায় এলাকার অনেক কৃষক সমন্বিত পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন। এলাকার আলু ব্যবসায়ীরা আগে টাঙ্গাইল জেলার পাইকারী বাজার থেকে আলু কিনি নিয়ে বিক্রি করতেন। এখন মাসুদ মিয়ার কাছ থেকে তারা আলু কিনছেন।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন জানান, সমন্বিত এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ খুবই লাভজনক। কৃষি কর্মকর্তারা এই পদ্ধতি সম্প্রসারণের জন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং জমি পরিচর্যা সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছেন। সমন্বিত এ পদ্ধতি সারাদেশে সম্প্রসারণ করা হলে লাভবান হবে দেশের কৃষি খাত।