টাঙ্গাইলে ইফতার সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি

টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল সদর লিড নিউজ

সাদ্দাম ইমন ॥
টাঙ্গাইল শহরের ফলপট্রিতে সাধারণ জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০-১১০০ টাকা কেজিতে, যা গত রমজানে ছিল ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজের দাম ১৫৭ শতাংশ, আলুর ৫৪ শতাংশ, রসুন (আমদানি) ৬০ শতাংশ, আদা (দেশী) ৮২ শতাংশ বেড়েছে।
শহরের ছয়আনী বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, এ বছর সয়াবিন তেল ছাড়া প্রায় সব জিনিসের দাম বেড়েছে। বর্তমানে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকায় বিক্রি করছেন, যা গত বছর ছিল ১৭০ টাকা। চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়, যা গত বছর ছিল ১১৫ টাকা; মসুর ডাল ১১০-১৪০ টাকায়, যা গত বছর ছিল ৯৫-১৩০ টাকা। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়, যা গত বছর ছিল ৯০ টাকা। পেঁয়াজু তৈরিতে ব্যবহৃত খেসারি ডালের দাম ১২০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৮০ টাকা। এছাড়া ছোলার বেসন কেজি প্রতি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ছিল ১১০ টাকা। বৈল্লা এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম পার্কবাজারে এসেছিলেন বাজার করতে। জিনিসপত্রের দাম শুনে চিন্তায় পড়ে যান তিনি। তিনি বলেন, রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহের বাজার করতে এসেছিলাম। গত বছর এসব জিনিস কিনতে এক হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। এবার দেড় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমাদের তো আয় বাড়েনি, কিন্তু আমাদের খরচ বেড়ে গেছে। আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা রমজানে একটু ভালো খাবারের জন্য এত বেশি খরচ করতে বাধ্য হচ্ছি।
অন্যসব পণ্যের মতো এবার ফলের দামও বেড়েছে। রমজানে বেশিরভাগ মানুষ খেজুর, আপেল, মাল্টা, কমলা, তরমুজ, আনারস, নাশপাতি, আঙুর, ডালিম এবং পেঁপে কিনতে আসেন। শহরের ফলপট্রির ফল বিক্রেতা সোহেল রানা জানান, তিনি এক কেজি আপেল ৩৪০ টাকা, মাল্টা ৩২০ টাকা, কমলা ৩৪০ টাকা, নাশপাতি ৩০০ টাকা, আঙুর ২৮০ টাকা, ডালিম ৪০০ টাকা এবং পেঁপে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, অধিকাংশ ফলের দাম গত বছরের তুলনায় ২০-৪০ শতাংশ বেশি। ডলারের দর ও আমদানি শুল্কের কারণে আমদানিকৃত ফলের দাম বেশি। দেশি ফলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে। এ ছাড়া রমজানকে সামনে রেখে বেগুন, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, পুদিনা ও টমেটোর চাহিদা বেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, এসব জিনিসের দাম কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম অনুষঙ্গ ছোলা কেজিতে পাঁচ শতাংশ দাম বেড়ে মানভেদে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইফতারে শরবতের অতি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ লেবুর চাহিদা প্রতি বছরই রোজায় ব্যাপকহারে বেড়ে যায়। গত এক সপ্তাহে মাঝারি সাইজের লেবুর দাম প্রতি হালিতে ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

 

 

৩০০ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *