স্টাফ রিপোর্টার ॥
এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে না। আগে থেকেই উচ্চ দামে বিক্রি হওয়া চিনি এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে তিন থেকে চার শতাংশ বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি খোলা চিনি খুচরায় ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুল্ক কমানোর পরও বাজারে কয়েক দফা বেড়েছে খেজুরের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরায় সাধারণ মানের খেজুরের দাম প্রতি কেজিতে সাত থেকে ১৪ শতাংশ বেড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ভালো মানের খেজুর এক হাজার থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ইফতারির অন্যতম জনপ্রিয় আরেকটি অনুষঙ্গ বেগুনি। বাড়তি চাহিদার কারণে প্রতি বছরই রোজার দুই-তিনদিন আগেই বেগুনের দাম বেড়ে যায়। এবার বাজারে বেগুনের সরবরাহের কোনো ঘাটতি না থাকলেও ইফতারি পণ্যের মধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পণ্যটির। বেগুনের দাম কেজিতে ৩৩ থেকে ৫০ শতাংশ দাম বেড়ে মানভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এবার শসার দাম এক মাস ধরেই বাড়তি। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দেশি শসা ২৫ থেকে ২৯ শতাংশ বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খিরা কেজিতে ৩৩ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে কখনো ৪০ থেকে ৫০ টাকার বেশি দামে খিরা বিক্রি হয় না বলেও বিক্রেতারা জানান।
রমজানে বাড়তি চাহিদাযুক্ত পণ্যগুলোর মজুতে কোনো ঘাটতি না থাকলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় উৎপাদন, আমদানি ও মজুত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রমজানে যেসব পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়, সেগুলোর মজুত পরিস্থিতিতে কোনো সংকট নেই। সাপ্লাই চেনও স্বাভাবিক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। তারপরও রোজা ঘিরে অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার। টাঙ্গাইল শহরের পার্কবাজারের সবজি বিক্রেতারা বলেন, দুই দফায় সবজির দাম বেড়েছে। বাড়তি দামে কেনার কারণে ভালোমানের লম্বা বেগুন কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় এবং গোল বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে শসার সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তি। দেশী শসা ৯০ থেকে ১০০ টাকা এবং খিরা কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। মাঝারি ও বড় সাইজের লেবুর হালি ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
অপরদিকে বাজারে মোটা সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৯০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা, গরুর মাংস ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা এবং রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। শসা ও লেবু বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচা মরিচের দামও প্রতিদিন বাড়ছে। খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। কয়েকদিন আগেও পণ্যটি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে লেবুর দাম। বাজারে ভালো মানের প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ফলে একটি লেবু কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকা। এ ছাড়া শতক ছাড়াচ্ছে শসা। মান বিবেচনায় পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে খিরা। কাঁচা মরিচ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে নতুন করে বাড়ছে আলুর দাম। বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪০ টাকায়।
অপরদিকে চাল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও চিড়ার দামও বাড়তি। মাছ-মাংসের বাজারেও একই চিত্র। বর্তমানে ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায়, মসুর ডাল কেজি ১৪০ টাকা, চিড়া প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা ও খেজুর মানভেদে ২৯০ টাকা থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মোটা সিদ্ধ চাল ৫৫ টাকা, আতপ চাল মানভেদে ৬০ থেকে ৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০টা থেকে ৮৫০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা এবং রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়।