স্টাফ রিপোর্টার ॥
বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, উৎপাদক থেকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য অ্যাপস দেয়া হচ্ছে। কোন মধ্যস্বত্ব ভোগী রাখা হবে না, যাতে করে সাধারণ ক্রেতারা হয়রানি না হয়। যে কোন মাল হোলসেল করলো আর কে কিনলো, এজন্য অ্যাপস দেওয়া হবে দ্রুতই। আমরা সারাদেশে যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি সে অনুযায়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে। কয়েকটা জায়গায় কম মূল্যও বিক্রি করা হচ্ছে। চিনি ১৪৫ টাকার জায়গায় ১৩৮ টাকাও বিক্রি করছে। তেলও আমরা ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি। কিন্তু খুচরায় তারা ১৫৮ টাকায় বিক্রি করছে। রমজান মাস উপলক্ষে সব কিছুর ঘাটতি থাকার কথা থাকলেও এখন কিন্তু বাজারে কোন ঘাটতি নাই। রমজানে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্যের সরবরাহ রয়েছে। লেবুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সব কিছুই বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। লোকাল প্রশাসক যথাযথভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। আমাদের কাজ হলো সাশ্রয়ী মূল্যে সাধারণ মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ নিশ্চিত রাখা।
মঙ্গলবার দুপুরে বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসান ইসলাম টিটু টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজার মনিটরিংয়ে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরোও বলেন, কৃষি বিপনন অধিদপ্তর কৃষি বিভাগের যে সব পন্য উৎপাদিত হয়, তার যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছেন। তবে এটি কিন্তু নির্ধারিত নয়। আমরা মাত্র কার্যক্রমটি শুরু করেছি। ধীরে ধীরে যারা উৎপাদক, পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতাদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারলে দাম পর্যায়ক্রমে কমে আসবে। কোন ব্যবসায়ী অবৈধভাবে মজুদ করে পন্যের দাম বৃদ্ধি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা অবৈধভাবে মজুদ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযান মানুষের মধ্যে আতংঙ্ক সৃষ্টি করে। বাজারে পন্য সরবরাহ থাকলে মূল্যও ঠিক থাকবে। খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের জরিমানা করতে চাই না তবে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে যারা উৎপাদক বা পাইকারিরা খুচরা ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমূল্যে দিতে পারে তাইলে তারা ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারবে। খুচরা বিক্রেতা যদি সঠিক কাগজ দেখাতে পারে তাহলে তাদের জরিমানা করা হবে না।
এর আগে সকালে টাঙ্গাইলে জেলার সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী ও টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাপা এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের এমপি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের এমপি ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের এমপি খান আহমেদ শুভ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন। সভায় জেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলার সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা হয়।