পছন্দের পোশাক কিনতে টাঙ্গাইলের মার্কেটে ভিড় ॥ বেচাকেনা বেড়েছে

টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল সদর টাঙ্গাইল স্পেশাল লিড নিউজ

হাবিবুর রহমান ॥
দেখতে দেখতে চলে গেল ১৯ রমজান। রোজার অর্ধেক বেশি সময় শেষ হয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে, টাঙ্গাইলে ততই বাড়ছে ঈদের আমেজ। মানুষের চিন্তায় এখন শুধু ঈদ বাজার। অনেকে ব্যস্ত প্রিয়জনকে কী দেবেন, মায়ের জন্য কোন্ শাড়িটা কিনবেন সেই উচ্ছ্বাসে। পরিবার-পরিজনকে ঈদ আনন্দে ভাসাতে ধনী-গরিব সবাই মিলে ছুটছেন ঈদ কেনাকাটায়। ক্রেতারা পছন্দের পোশাকটি কিনতে ভিড় করছেন টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন বিপণি বিতান, ফ্যাশন হাউস, শপিংমল ও মার্কেটে। এর ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে পোশাকের বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের বাজার গত ১০ রমজান থেকেই জমে উঠেছে। দিন যত যাচ্ছে, বাড়ছে বিকিকিনি। এপ্রিলের শুরুতে চাকরিজীবীদের হাতে টাকা আসবে। তখন কেনাবেচা ১০ গুণ বেড়ে যাবে। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে টাঙ্গাইলের শপিংমলগুলোয় সব বয়সের ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সমস্যায় ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। আর তার প্রভাব এসে পড়েছে ঈদ বাজারেও। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ফজলে রাব্বী টাঙ্গাইলের মার্কেটে এসে একজোড়া স্যান্ডেল কিনেছেন। যার দাম পড়েছে দুই হাজার টাকা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্টের কারণে ১০০ টাকা ফেরত পেয়েছেন। এরপরও রাব্বী স্যান্ডেলের মান ও দামের প্রতি সন্তুষ্ট নন। তিনি জানান, যেসব স্যান্ডেলের দাম ছিল ১০০০-১২০০ টাকা, এবার তা ১৮০০ থেকে দুই হাজারে উঠেছে। তিনি একটি শার্টও কিনেছেন ১৪০০ টাকায় ও একটি পায়জামা কিনেছেন ৮৫০ টাকায়।
ঈদ সমানে রেখে প্রতিটি শোরুম ও বিপণি বিতানে পোশাকের ব্যাপক সমারোহ দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সব ধরনের কালেকশন তারা রেখেছেন। গরমে সুতি কাপড়ের চাহিদা বেশি থাকায় সুতি কালেকশন বেশি রয়েছে। তবে দাম নিয়ে আপত্তির শেষ নেই ক্রেতাদের। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষরা ঈদ বাজারে এসে দর কষাকষি করছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিপণন কর্মীরা দামের বিষয়টি যে একটু বাড়তি তা স্বীকার করেন। তবে এই মূল্য বৃদ্ধিতে বেচাকেনায় তেমন প্রভাব পড়ছে না।
বিশেষ করে ঈদের বাজারে সবচেয়ে বড় অংশজুড়েই রয়েছে বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী। বস্ত্রের মধ্যে শার্ট, প্যান্ট, পায়জামা, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, শাড়ি, লুঙ্গি ও টুপি ইত্যাদি। এরপর রয়েছে জুতা ও প্রসাধনী। এসব অধিকাংশ দোকানেই ১০ রমজানের পর থেকে বেচাকেনা বেড়েছে। চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত। এদিকে ফুটপাতেও বেচাকেনা বেড়েছে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের হাজারো ক্রেতা সেখানে ভিড় করছেন।

১৯৭ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *