
স্টাফ রিপোর্টার ॥
দেশের মানুষ সুখে থাকুক, ভালো থাকুক এটা বিএনপি চায় না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল নির্বাচনের আগে বলেছিলেন পাকিস্তান আমলেই ভালো ছিলাম, এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কোন বিষয়ে কোন সুযোগে ভালো ছিলেন ? যেহেতু পেঁয়াজের দাম কমেছে, জিনিসপত্রের দাম কমেছে ও মানুষ একটু স্বস্তিতে আছে। ঠিক এমন সময়ে বিএনপি ভারতের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। দেশের মানুষ ভালো থাকুক তারা তা কখনও চায় না।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আশেকপুর বাইপাস এলাকায় কাদেরিয়া বাহিনীর জাদুঘর নির্মাণের স্থান পরিদর্শন ও আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল এ দেশে শোষণ মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত সমাজ তৈরি করা। সেটা যেন না হয় সেজন্য এখনও তারা পাকিস্তানকেই হৃদয়ে ধারণ করে নানা সমালোচনা করেন। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি আবারো মাথাচারা দিয়ে উঠতে চায়, তাদের প্রতি আমাদের সতর্ক থাকতে হবে সবসময়ই। মন্ত্রী বলেন, কাদের সিদ্দিকী ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। মন্ত্রী টাঙ্গাইলে মুক্তিযুদ্ধের ও বঙ্গবন্ধুর সকল স্মৃতিবিজড়িত স্থান সরকারিভাবে সংরক্ষণ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। মুক্তিযুদ্ধের সকল স্মৃতিবিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও কালিহাতীর-৪ আসনের এমপি লতিফ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৭ আসনের এমপি খান আহমেদ শুভ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান, জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক আলমগীর প্রমুখ।
বক্তারা টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুর হাতে কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র সমর্পণের স্মৃতি সংরক্ষণ ও জাদুঘর দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। এ সময় জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বানিয়াফৈর এলাকা পরিদর্শনে যান। এখানে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ভারতীয় ছাত্রীসেনারা অবতরণ করেন। সেই ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।