হাসান সিকদার ॥
নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়ছে উত্তরবঙ্গের মানুষজন। এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গাড়ির চাপ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। গভীর রাতে শুরু হওয়া এ যানজট ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে একটি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সেটি উদ্ধারে পাঁচ মিনিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।
এদিকে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে সেতুর উপর বাস বিকল ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত যত গভীর হয়েছে যানজটের আকার তত বেড়েছে বলে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও সেতুর উপর পরিবহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।
বাস চালক মনসের আলী বলেন, ঢাকা থেকে বগুড়া গিয়েছে কোন যানজটের মুখে পড়তে হয়নি। তবে আজ ভোরে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছি এলেঙ্গা পর্যন্ত যানজট ছাড়া এসেছি। কিন্তু এলেঙ্গার পর থেকে দেখি যানজট শুরু হয়েছে। কতক্ষণ বসে থাকতে হবে জানি না। এতে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আমরাও ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। যাত্রী মুনিয়া আক্তার বলেন, ঢাকা থেকে স্বামীকে নিয়ে ভোরে রওনা দিয়েছি বগুড়া যাবো। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের আশেকপুর পর্যন্ত যানজট ছাড়া এসেছি। আশেকপুরের পর থেকে গাড়ির ধীর গতি ছিল এঙ্গেলা পর্যন্ত। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যানজট শুরু হয়েছে শুনতেছি। আরও কতক্ষণ বসে থাকতে হবে জানি না।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে পরিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগতিতে চলাচল করছে। এছাড়া সেতুর উপর একটি বাস নষ্ট হওয়ায় পাঁচ মিনিট বন্ধ ছিল পরিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন্য পরিবহনগুলোতে ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে আশা করছি এবার যানজট হবে না।
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট
১৯৭ Views