হাসান সিকদার ॥
দীর্ঘ ভোগান্তির পর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এরআগে ফিটনেসবহীন পরিবহন, সেতুর উপর দূর্ঘটনা, টোল আদায় বন্ধ থাকায় গভীররাত থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পরিবহন চলাচলে ধীরগতি ও যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুর দুইটার পর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু হয়। বর্তমানে ঢাকা- টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ফাঁকা হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে ৩টার দিকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, রাবনা বাইপাস, আশেলপুর বাইপাস এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পরিবহনের তেমন চাপ নেই। কয়েকটি করে গাড়ি উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছে। এরআগে সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।
যাত্রী আরিফ মজুমদার বলেন, গতবারের মতো এবারও স্বস্তিতে বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু গত কয়েক বছর আগেও এ মহাসড়ক ছিল গলা কাঁটা। এবারও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক নিয়ে চিন্তায় ছিলাম যে কোন সময় যানজটে পড়তে পারি। কিন্তু পুলিশের নানা পদক্ষেপের কারনে ভোগান্তি ছাড়া বাড়ি যাচ্ছি। চালক মোতালেব সরকার বলেন, সকালে প্রচুর যানজট ছিল। কিন্তু এখন মহাসড়ক একেবারে ফাঁকা। যাত্রীদের ভোগান্তি ছাড়া বাড়ি পৌঁছে দিতে পারছি। পুলিশ প্রশাসনের কারণে স্বস্তিতে গাড়ি চালাতে পারছি।
বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, সোমবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৯টার পর সেতুর উপরে ১১টি গাড়ি বিকল হয়। সেগুলো তাৎক্ষণিক অপসারণ করাতে কিছুটা সময় লাগে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে সেতুর টোলপ্লাজার কাছে কিছু সংখ্যক পরিবহন থাকলেও সেতুর দুইপাশে তেমন পরিবহন নেই। স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে পরিবহন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান জানান, পুরো মহাসড়কে তেমন কোন পরিবহন নেই। অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে গাড়িগুলো। দুপুরের পর মহাসড়ক ফাঁকা হয়েছে। গাড়ির চাপও কমেছে। আর চাপ বাড়ার সম্ভবনাও নেই।