
স্টাফ রিপোর্টার ॥
বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্ত শিল্পকে বর্ষ পন্য হিসেবে ঘোষনা করেছেন। সেই ঘোষনার আলোকে আমরা একটি গ্রাম একটি পন্য এই শ্লোগানে সারাদেশে তৃনমূল পর্যায়ে যে সকল কারিগর রযেছে তাদেরকে মেলার মাধ্যমে একত্র করে তাদের তৈরি হস্ত ও কুটির শিল্পকে আগামী ঢাকা আর্ন্তজাতিক বানিজ্য মেলায় স্টল করে দিয়ে উপস্থাপন করার সুযোগ করে দিব। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো হস্ত ও কুটির শিল্পকে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সরকারী কলেজ মাঠে নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও বৈশাখী মেলা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আগে মানুষ পেটের দায়ে ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের কাজ করতো। কিন্তু এটা যে একটা শিল্প এবং এর থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব সে বিষয়টা মাথায় নিয়েই আমরা এই হস্ত ও কুটির শিল্পীদের ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসব। আমরা বিশ্বাস করি তারা যথাযথ প্রশিক্ষন পেলে তাদের উৎপাদিত পন্য আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে। আর বর্তমান সরকার তাদের পাশে থেকে আর্ন্তজাতিক বাজারে রপ্তানী করতে সহযোগিতা করবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাদের কিছু হস্ত ও কুটির শিল্প রয়েছে যেমন- বাঁশ ও বেতশিল্প, মৃৎশিল্প, নকশীকাথা, গ্রামের মা-বোনদের হাতে তৈরি কাসুন্দি, আচার, মুড়িমরকিসহ বিভিন্ন শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এই শিল্পগুলো যাতে বিলুপ্ত হয়ে না যায় সেজন্যই আজকের এই মেলার আয়োজন।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান এর সার্বিক তত্বাবধানে নাগরপুর সরকারী কলেজ মাঠে ১৩ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে। মেলায় হস্ত ও কুটির শিল্পের স্টল ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২ শতাধিক স্টল অংশ নিয়েছে। মেলার উদ্বোধনী দিনের সন্ধ্যায় সঙ্গীত শিল্পী পড়শী ও ফকির গান পরিবেশন করেন। এছাড়া মেলায় প্রতিদিন জাতীয় পর্যায়ের অন্যান্য শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন।