
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রোমান খান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা সিঙ্গাপুর প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী কে নিয়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোমান খান মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক বহুরিয়া গ্রামের আওলাদ খানের ছেলে। ওই নারী একই ইউনিয়নের বুধীরপাড়া গ্রামের দেলোয়ার শিকদারের পুত্র সিঙ্গাপুর প্রবাসী হুছেন শিকদারের স্ত্রী। ওই নারীর ১৯ মাসের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। মাকে ছাড়া শিশু পুত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ৮/৯ বছর আগে হুছেন শিকদারের সঙ্গে সখিপুর উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ী গ্রামের মেয়ে সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর হুছেন সিঙ্গাপুর চলে যান। দুই বছর পর পর হুছেন বাড়ি আসেন। তাদের ১৯ মাস বয়সের সাফওয়াত নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে ওই নারীর সাথে বহুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক রোমান খানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এদিকে ওই নারীর স্বামী হুছেন শিকদার গত মার্চ মাসে ছুটিতে বাড়ি আসেন এবং দুই রোজায় সিঙ্গাপুর চলে যান।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ওই নারী ১৯ মাসের শিশুপুত্র সাফওয়াতের মায়া ত্যাগ করে ছাত্রলীগ নেতা রোমান খানের হাত ধরে পালিয়ে যায়। এসময় তিনি তার বাবা ও স্বামীর দেয়া ৮/৯ ভড়ি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা ধার নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ওই নারী শ্বশুর দেলোয়ার শিকদার মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এদিকে ১৯ মাসের শিশুপুত্রটি অসুস্থ্ হয়ে পড়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছেন। দেলোয়ার শিকদার জানান, সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে তার ছেলে হুছেন শিকদার সিঙ্গাপুরে প্রবাস জীবন যাপন করছে। গত মাসেও ছেলে বাড়ি আসছিলো। ছেলের দেয়া টাকা, স্বর্ণালংকার এবং আত্মীয়দের কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়ে পালিয়ে গেছে। ১৯ মাসের শিশু নাতিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছি। নাতিভাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রোমান খানের বাবা আওলাদ খান বলেন, ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। শুনেছি কি ঘটনা যেন ঘটিয়েছে। তিনি ব্যস্ত আছেন বলেই লাইন কেটে দেন। রোমান খানের চাচাতো ভাই বলেন, বয়স কম। না বুঝে এমন কাজ করেছে। আমরা সমাধান করার চেষ্টা করছি। বহুরিয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার গোপাল শিকদার বলেন, ওই নারী টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে।
মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সেতাব মাহমুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেস্টা করেও সম্ভব হয়নি।
মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।