হাবিবুর রহমান, মধুপুর ॥
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বংশাই নদে হিন্দু ধর্মালম্বীদের স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয় এ স্নানোৎসব। বিভিন্ন স্থানের হিন্দু ধর্মালম্বীর লোকজন বংশাই নদের
চাড়ালজানি নামক স্থানে এসে মহাষ্টমী পুণ্যস্নান করে। মধুপুর পৌরসভার চাড়ালজানির বটতলায় স্নানোৎসব কে কেন্দ্র জমে উঠে মেলা। সকাল থেকে মেলা আসে গ্রাম বাংলার ও সনাতন ধর্মালম্বীদের নানা জিনিসপত্রের দোকান। পসরা সাজিয়ে বসে আশপাশের এলাকা জুড়ে। শিশু কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষ মেলায় ভীড় জমায়। কেনা কাটা ও স্নানোৎসবে মেতে উঠে।
স্নানোৎসবে আসা কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিস্বাস মতে, মহাভারতের বর্ণনা মতে পরশুরামমুনি পাপমুক্তির জন্য ব্রহ্মপুত্র নদে যে স্থানের জলে স্নান করেছিলেন, তা লাঙ্গলবন্দে অবস্থিত। সেই থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস এইদিনে নদীতে স্নান খুবই পুণ্যের। এ স্নানের ফলে ব্রহ্মার সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যমে পাপ মোচন হয়। বংশাই নদের ওপারে সবুজে ঘেরা। এপারে বট বৃক্ষের ছায়া। পাশেই মন্দির। খরস্রোতা বংশাই নদের স্বচ্ছ জল নজর কাড়া। পাশেই বেশির ভাগ বসতি হিন্দু ধর্মালম্বীদের। এ স্নানোৎসবে সকাল থেকে হিন্দু ধর্মালম্বীর লোকের তাদের পুণ্য স্নান করার জন্য আসতে শুরু করে। নদের এপারে চলে স্নানোৎসব। নানা বয়সী মানুষ তাদের এ উৎসব করে।
স্থানীয় কয়েকজন জানালেন, প্রতি বছর বংশাই নদের এ চাড়ালজানি ঘাটে এ স্নানোৎসব হয়ে থাকে।
উৎসবে যোগ মেলা দিন ব্যাপী মেলায় বেচাকেনা চলে। গ্রামীণ লোকজ জিনিস আসে মেলা। সূর্যাস্ত
যাওয়ার আগেই মেলা শেষ হয়।
কয়েকজন কিশোর জানালেন, চাড়ালজানি বংশাই নদের এ স্থানটি পাকা সড়কের পাশে হওয়ায় লোকজনের সমাগম বেশি হয়ে থাকে। যাতায়াতের সুবিধা ভালো থাকায় জমে উঠে স্নানোৎসবসহ এ মেলাটি।