স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ঘারিন্দায় ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সাইম (১৪) নামের এক কিশোরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ও ডিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে ওবাইদুল (৪৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের রানাগাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সাইম ঘারিন্দা ইউনিয়নের গোসাই জোয়াইর গ্রামের আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় আজিম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ওবাইদুল নামে একজনকে প্রধান আসামি ও ৫ জনের নাম উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতেই টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই রাতেই পুলিশ ও ডিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি ওবাইদুল নামে একজনকে রানাগাছা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদ্দাম হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের রানাগাছা নামক স্থানে (বাড়ির পাশে) যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় কিশোর সাইম। রানাগাছা এলাকার মুদি দোকানদার ওবাইদুলের সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সাইম ও তার বন্ধুদের সাথে তর্কাতর্কি হয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ওবাইদুলের হাতে থাকা দোকানের কাজে ব্যবহৃত ছুরি দিয়ে সাইমের বুকে আঘাত করে। পরে তাকে বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাইমের বাড়িতে নিয়ে আসে। তার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইমকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মামা সোহাগ বলেন, সাইমকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কী এমন ঘটনা ঘটেছে যে আমার ভাগ্নেকে মেরে ফেলতে হবে। আমি অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ জানান, আমি যতটুক জেনেছি, পূর্বের একটি বাগবিতন্ডার জের ধরে সাইমকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমি অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতেই মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামি ওবাইদুলকে পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তিনি আরও জানান, এর পূর্বে রাতেই সাইমের মা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সাইমের লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।