
সোহেল রানা, কালিহাতী ॥
দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর জনসংযোগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের অংশগ্রহণ ও প্রতীক উল্লেখ করে ভোট চাওয়ার এবং অন্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের মগড়ায় একটি মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একসাথে অংশগ্রহণ করেন সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও তাঁর ছোটভাই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এস.এ.এম সিদ্দিকী (আজাদ সিদ্দিকী)। এ সময় আজাদ সিদ্দিকী ও তাঁর অনুসারীরা আগামী (২১ মে) অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সমর্থন ও ভোট চান। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও ও ছবি তাঁদেরই অনুসারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আইডিতে প্রচারণা করা হয়েছে। সেই সাথে মুর্হুতেই বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়।
আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা তাঁর চাওয়া প্রতীক মোটরসাইকেল উল্লেখ করে গান সহকারে বিভিন্ন বাজারে জনসংযোগ ও ভোট চাইছেন বলে তাঁরই অনুসারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আইডিতে প্রচারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপর দুই প্রার্থী আনছার আলী ও হাসমত আলীর বিরুদ্ধে প্রতীক বরাদ্দের আগেই বিভিন্ন হাট- বাজারে জনসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ছিল গত (২১ এপ্রিল), মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে গত (২৩ এপ্রিল), প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় (৩০ এপ্রিল)। প্রার্থিদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ ও প্রচারণা শুরু হবে আগামী (২ মে)। আর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী (২১ মে)। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা-২০১৬ এর ৫নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘‘কোন প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোন রাজনৈতিক দল, অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করিতে পারিবেন না।’’ ২২নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।’’ সে অনুযায়ী নির্বাচন আচরণ বিধিমালার লঙ্ঘন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা মাননীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সকল প্রার্থীদেরকে লিখিতভাবে সতর্ক করবো এবং আচরণ বিধি মেনে চলতে বলবো।