সাদ্দাম ইমন ॥
টানা তাপদাহে টাঙ্গাইলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। তবুও জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে বের হতে হচ্ছে তাদের। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হলেও টাঙ্গাইলে এখন পর্যন্ত কাঙ্খিত সেই বৃষ্টির দেখা পায়ই টাঙ্গাইলবাসী। প্রচন্ড তাপদাহে ক্রমশই উতপ্ত হয়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের আবহাওয়া।
সরেজমিনে টাঙ্গাইল শহরের নিরালামোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাসস্ট্যান্ড ও উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার এলেঙ্গায় দেখা যায় মানুষ প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করেছে। বিশেস করে বয়ষ্ক ও শিশুরা। রিকশা-ভান চালকরা ঘেমে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। ফ্যানের দোকানগুলোয় বেড়েছে ভীড়। অনেকে আবার রাস্তায় বরফ লেবু এক গ্লাস সরবত খেয়ে তৃষ্ণা নিবারণ করার চেষ্টা করছে। তবে তুলনামূলকভাবে রাস্তায় জন সাধারণের সংখ্যা কম। কিন্তু হাসপাতালগুলোয় বেড়েছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন, শনিবার (৪ মে) চলতি বছরের জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা ৪৯%। আগামী আরো দুইদিন দাবদাহ থাকার সম্ভবনা রয়েছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, তীব্র তাপদাহে সাধারণ মানুষ একেবারে নাকাল। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে শনিবার (৪ মে) পর্যন্ত জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতীব প্রয়োজন ছাড়া অপ্রয়োজনে বাসা-বাড়ি থেকে না বের হওয়াই ভাল।