
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টি বাগান স্থাপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নাগরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ক্যাম্পাসের পতিত জমিতে সরকারী উদ্যোগে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরী ও বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ শুরু করা হয়েছে। যা সারা উপজেলায় ব্যাপক সারা ফেলেছে।
জানা যায়, দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনায় মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু কৃষি উৎসব উপলক্ষে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের “অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টি বাগান স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে উপজেলা কৃষি অফিস। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নাগরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ক্যাম্পাসের পতিত জমিতে সরকারী উদ্যোগে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরী ও বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি চাষ শুরু করা হয়েছে।
এজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে বিনামূল্যে কেচো ও শাক-সবজীর বীজ সরবরাহ করা হয়। ক্যাম্পাসের পতিত জমিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাই ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরী ও নানা প্রজাতির শাক-সবজির চাষ করছেন। এতে করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাষাবাদের আগ্রহ তৈরী হচ্ছে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিচ্ছেন পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পুরণে নিজ নিজ বাড়ির পরিত্যাক্ত ও অনাবাদি জমিতে শাক-সবজী চাষ করার জন্য। শিক্ষার্থীরাও পরিবারের লোকজনের সহায়তায় নিজ নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান।
নাগরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে বলেন, ক্লাশ শুরুর আগে ও ছুটির পরে ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রজেক্ট ও নানা প্রজাতির শাক-সবজির জমিতে শিক্ষার্থীরা কাজ করছে। এতে পড়ালেখার পাশাপাশি তাদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষনও হচ্ছে। যা তাদের পাঠ্য বই কৃষি শিক্ষায় অগ্রগতি হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্প দেখে ইতিমধ্যে উপজেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টি বাগান গড়ে তুলেছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়ে উপজেলার প্রতিটি স্কুল ও কলেজে পর্যায়ক্রমে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। নাগরপুরের মতো দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টি বাগান স্থাপন কর্মসুচী বাস্তবায়ন করা গেলে ঘাটতি পুরণ হবে দেশের পুষ্টি চাহিদার, একইসাথে বাস্তবায়ন হবে প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না’।