স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
বাবার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত। তিনি আসন্ন চতুর্থ ধাপে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে (আনারস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সীমান্ত টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের টানা চারবারের সংসদ সদস্য প্রয়াত একাব্বর হোসেনের ছেলে। ব্যারিস্টার তাহরিম হোসেন সীমান্তÍ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকও ছিলেন।
স্বামীর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে সীমান্তর মা ঝর্ণা হোসেনও ছেলের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তারা প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে (আনারস) প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন। আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে আগামী (৫ জুন) মির্জাপুর উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সীমান্ত সভা-সমাবেশে নিজের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি বাবার রাজনীতি, উন্নয়ন ও সামাজিক কর্মকান্ড তুলে ধরছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রয়াত সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন দক্ষ নেতৃত্ব দিয়ে দীর্ঘ দুই যুগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর কৃতিত্বের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এ আসনে টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হন। এরমধ্যে দুইবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিগত ২০২১ সালের (১৬ নভেম্বর) মারা যান।
মৃত্যুর আগে দীর্ঘ ১৮ বছর সংসদ সদস্য থাকাকালীন মির্জাপুর উপজেলায় যোগাযোগসহ কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেন একাব্বর হোসেন। ছোট-বড় শতাধিক ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মানসহ কয়েকশ’ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করেন। এছাড়া বংশাই ও লৌহজং নদী ভাঙ্গনরোধে উন্নয়ন কাজ করেছেন। উপজেলার শতাধিক সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। তাছাড়া পৌর ভবন, ৮টি ইউনিয়ন ভবন, ফায়ার স্টেশন, বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মান করেছেন। গৃহহীন তিন শতাধিক পরিবারকে জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। মির্জাপুর উপজেলার সাথে কালিয়াকৈর, ধামরাই, সাটুরিয়া, নাগরপুর, দেলদুয়ার, বাসাইল ও সখিপুর উপজেলার যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ পাকুল্যা-লাউহাটী, মির্জাপুর-কালামপুর, মির্জাপুর-পাথরঘাটা ভায়া তক্তারচালা ভায়া পেকুয়া, দেওহাটা-ধানতারা, ধল্যা-বিলপাড়া, ডুবাইল-ফতেপুর সড়ক পাকা করেন।
দলীয় নেতাকর্মীরা টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে জানান, প্রয়াত একাব্বর হোসেন মির্জাপুর উপজেলায় প্রায় এক হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা পাকা করেছেন। বিপুল সংখ্যক মসজিদ, মাদরাসা ও মন্দিরে লাখ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। অন্যদিকে কয়েকটি বাজারে ব্যবসায়ীদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। প্রয়াত সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনের এই কর্মযজ্ঞ তাকে মির্জাপুরবাসীর কাছে জনপ্রিয় করে রেখেছেন। বাবার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এবং নিজের সাংগঠনিক কর্মকান্ড দিয়ে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।