স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক আবু তাহের ও তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুবা পারভীনের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৬ মে) দুপুরে হাসপাতালের সামনে সকল চিকিৎসক নার্স এসিস্ট্যান্টসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা দুস্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচিতে অংশ নেন।
জানাগেছে, শনিবার (২৫ মে) শিশু বিভাগের ডাক্তার আবু তাহের হাসপাতালের কাজ শেষ করে তার পুর্ব আদালত পাড়ার বাসায় যান। বাসার নিচতলার তিনি রোগী দেখেন। বেলা তিনটার দিকে সুজন ও সোহান নামের দুই ব্যক্তি ও তার সাথে আরো ৪/৫ জন নারী এক শিশু নিয়ে আসেন ডাক্তারকে দেখাতে। ডাক্তার শিশুটিকে দেখে বলেন, তার অবস্থা ভাল না। শিশুটির খিচুনী উঠেছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাছাড়া তাকে চিকিৎসা করার যন্ত্রপাতিও আমার কাছে নেই। কিন্ত তারা না শুনে তাকে চিকিৎসা দিতে বলেন। ডাক্তার চিকিৎসা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তারা তাকে গালাগালি করেন। ডাক্তার বাঁধা দিলে তারা তাকে বেদম মারধর করেন। এতে তার হাত ভেঙ্গে যায়। চিৎকার শুনে ডাক্তারের স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও তারা চুল ধরে বেদম মারধর করে। পরে তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা দ্রুত চলে যায়। এঘটনায় অ্যাডভোকেট মাহবুবা পারভীন বাদি হয়ে শনিবার (২৫ মে) রাতেই সুজন, সোহানের নামে ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানবন্ধন করেছে হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মামলা হওয়ার ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও আসমাীরা গ্রেপ্তার হয়নি। চিকিৎসকদের উপর এভাবে হামলা হলে কোন চিকিৎসকই ভালো ভাবে কাজ করতে পারবে না। সন্ত্রাসীদের কাছে কোন চিকিৎসকই নিরাপদ নয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীরা গ্রেপ্তার না হলে কর্মবিরতিসহ সকল প্রকার আন্দোলন কর্মসুচি ঘোষনা করা হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি সৈয়দ ইবনে সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, শেখ হসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল কদ্দুস, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাদেকুর রহমান, স্বাচিপ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি কামরুল ইসলাম ইউসুফজাই, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান লিটন, গাইনী বিভাগের প্রধান রেহেনা পারভীন, মেডিসিন বিভাগের রেজিষ্টার নজরুল ইসলাম কনক প্রমুখ।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, আসামাীদের গ্রেপ্তারে সর্বাত্ব চেষ্টা চলছে। আশা করছি খুব দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।