
স্টাফ রিপোর্টার ॥
মিন্টু মিয়ার (৩০) সন্দেহ তার স্ত্রীর সঙ্গে মামাতো ভাই নাজমুল হোসেনের (২৭) পরকীয়া সম্পর্ক আছে। এ কারণেই স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছেন। এমন ক্ষোভে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করেন নাজমুলকে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মারা যায় নাজমুল। সোমবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের আবেদ আলী মার্কেট এলাকায়।
পুলিশ ও নিহতের চাচাতো ভাই রাসেল মিয়া জানান, নাজমুল হোসেন ও মিন্টু মিয়া সম্পর্কে মামতো-ফুফাতো ভাই। নাজমুলের বাবার নাম আবুল হোসেন এবং মিন্টুর বাবার নাম আব্দুল কাদের। দুজনের বাড়িই লক্ষিন্দর গ্রামে। পেশা দুজনের কৃষি কাজ করেন। গত সপ্তাহে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে মারধর করেন মিন্টু। বিষয়টি জানতে পেরে ভাবিকে দেখতে যায় নাজমুল। ভাবির গলায় এবং কানের পাশে আঘাতের চিহৃ দেখে হাত দিয়ে সেই স্থানে স্পর্শ করে নাজমুল জানতে চান আরও কোথাও আঘাত আছে কিনা। স্ত্রীকে স্পর্শ করার দৃশ্য দেখে ফেলেন মিন্টু মিয়া। স্ত্রী এবং মামাতো ভাই নাজমুলকে জড়িয়ে মনে সন্দেহের বীজ বপন করেন তিনি। ফলে পরিবারে কলহ আরও বেড়ে যায়। বাবার বাড়ি চলে যায় মিন্টুর স্ত্রী। পাঠিয়ে দেন ডিভোর্স লেটার। এতে নাজমুলের উপর ক্ষিপ্ত হন মিন্টু।
রাসেল মিয়া আরও জানান, মিন্টু এলাকায় বলে বেড়াতেন নাজমুলের কারণেই নাকি তার সংসার ভেঙেছে। এদিকে সোমবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে বাড়ির পাশেই আবেদ আলী মার্কেটে চা পান করতে যান নাজমুল। সেখানে প্রকাশ্যে লোকজনের সামনে নাজমুলকে ছুরি দিয়ে পেটে ঘা মারেন মিন্টু। ঘা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সে। পালিয়ে যায় মিন্টু। স্থানীয়রা উদ্ধার করেন হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যায় নাজমুল।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দুই ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত মিন্টু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।