স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
আসন্ন চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় সব শ্রেণি পেশার ভোটারের মধ্যে সাড়া ফেলেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩ জন চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে সব শ্রেণি পেশার ভোটারের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে সীমান্ত নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। রাত-দিন তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বাবা প্রয়াত একাব্বর হোসেন টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের টানা চারবারের সাংসদ।
সরেজমিনে রবিবার (২ জুন) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত উপজেলার সর্বত্র প্রচার-প্রচারণায় শীর্ষে রয়েছেন। তিনি যে এলাকায়ই যাচ্ছেন শত শত ছাত্র-যুবক ও বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ ভোটাররা ঘিরে ধরছেন তাঁকে। সাধারণ ভোটাররা কর্মী হিসেবে আনারস প্রতীকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। আগামী ৫ জুন বুধবার এ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সাধারণ ভোটারদের মতে, পরীক্ষিত রাজনৈতিক নেতা টানা চারবারের এমপি প্রয়াত একাব্বর হোসেনের ছেলে তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে এ উপজেলায় সবার মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন সীমান্ত। বাবার রাজনৈতিক ও উন্নয়ন এবং নিজের রাজনৈতিক কর্মকান্ড এ নির্বাচনে তাঁর এমন শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
বেশ কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বংশাই, লৌহজং ও ধলেশ্বরী নদী এ উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত। এছাড়া অসংখ্য খাল ছিল। উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগের অবস্থা ছিল না। প্রয়াত একাব্বর হোসেন চারবার এমপি থেকে এসব নদী ও খালে ব্র্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি পাকা রাস্তাও করেছেন। এজন্য তারাসহ মির্জাপুরবাসী তার ছেলে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তকেই ভোট দেবেন বলে জানান।
মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া জানান, ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তর সব এলাকায়ই জনসমর্থন ও ব্যাপক ভোটার রয়েছে। সীমান্তর আচরণ অত্যন্ত বিনয়ী। এ আসনের সাবেক সাংসদ ফজলুর রহমান খান ফারুকের ছেলে খান আহমেদ শুভকে আমরা এমপি বানিয়েছেন। এবার প্রয়াত সাংসদ একাব্বর হোসেনের ছেলে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তকে মির্জাপুরবাসী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন বলে আশা প্রকাশ করি। নিরহংকার মানুষ হিসেবে আমরা সবাই তাঁকেই ভোট দেব। মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মল্লিক জানান, মির্জাপুরবাসী একাব্বর হোসেনকে টানা চারবার এমপি নির্বাচিত করেছিলেন। তিনি অনেক উন্নয়ন কাজ করেছেন। তার ছেলেকেই জয়ী করতে কাজ করছি।
বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান জানান, একাব্বর হোসেন পাহাড়ি এলাকার রাস্তা-ঘাট পাকা, ব্রিজ-কালভার্ট ও স্কুল-কলেজের পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন। আগামী নির্বাচনে এ এলাকার মানুষ একাব্বর হোসেনের ছেলে সীমান্তকেই ভোট দিবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, মির্জাপুরবাসী আমার বাবা প্রয়াত একাব্বর হোসেনকে টানা চারবার ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন। আমার বাবা মির্জাপুরে বিভিন্ন স্তরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন।‘আমি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। সব জায়গায় বেশ সাড়া পাচ্ছি। আমার ধ্যান-জ্ঞান সব সাধারণ জনগণকে নিয়ে। জনসংশ্লিষ্টতা আমার রক্তে মিশে আছে। মির্জাপুরবাসী আগামী ৫ জুন আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন বলে আশা প্রকাশ করি।