
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের বাসাইলে নিবার্চন পরবর্তী সহিংসতায় এক বৃদ্ধাসহ ৫ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাশীল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নাকাছিম পূর্বপাড়া গ্রামে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সহিংসতায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ চন্দ্র সরকার, ননী গোপাল সরকার, মিনতি রানী সরকার, বাসন্তী রানী সরকার এবং আশি বছরের বৃদ্ধা সুর্য্যমনী রানী সরকার গুরুত্বর আহত হন। এঘটনায় ওই রাতেই দিলীপ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে বাসাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সহিংসতায় আহতদের এবং অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী কাজী শহিদুল ইসলামের সমর্থক কাশীল গ্রামের শমশের খানের ছেলে আলমগীর, মনির হোসেনের ছেলে ফরিদ হোসেন, শাহাদত মিয়ার ছেলে তুষার মিয়া, বিয়ালা গ্রামের জামাল ভূইয়ার ছেলে আরিফ ভূইয়া ও ফয়সাল ভূইয়াসহ ১০/১৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দিলীপ সরকারের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় তারা আনারস প্রতীকের প্রার্থী কাজী অলিদ ইসলামের নিবার্চন করা এবং ভোট দেয়ায় তাদেরকে গালিগালাজ এবং দেশীয় অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে আতংকের সৃষ্টি করে। শোবার ঘরে থাকা শোকেজের ড্রয়ার ভেঙ্গে দুইভরি ওজনের স্বর্ণের গহনাসহ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রাতেই দিলীপ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে আলমগীর, ফরিদ, তুষার, আরিফ, ফয়সালের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে বাসাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বিজয়ী প্রার্থী কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, আমার নিবার্চন করায় কাজী শহিদ মুন্সির ভাতিজা, ভাগিনাসহ কতিপয় লোক এই হামলা করেছে। প্রশাসনের সকলের সাথে বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলেছি, তারা এই ঘটনার কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবার আশ্বস্থ করেছেন। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে বাসাইলের হিন্দু মুসলমান সকলকে নিয়ে মানববন্ধন সহ আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এ বিষয়ে পরাজিত প্রার্থী কাজী শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাসাইল থানার ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। গ্রেফতারের অভিযান চলমান আছে।