
নুর আলম, গোপালপুর ॥
রাত পোহালেই ঈদ। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে শত বছর পুরনো সাপ্তাহিক এই হাঁট শেষ মুর্হুতে জমে উঠেছে। গোপালপুরে শত বছর পুরানো হাটে কোরবানীর পশুতে সয়লাভ। এবার প্রচুর কোরবানীর পশু উঠেছে এই হাটে। ক্রেতা বিক্রেতারা স্বাচ্ছন্দের মধ্যেই দাম কষাকষির মাধ্যমে কোরবানির পশু গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয় করেছেন।
টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ঐতিহ্যবাহী কোনাবাড়ী কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। গরু মহিষকে সুসজ্জিত সারিবদ্ধ করে রাখার জন্য হাটের মাঠটিতে বাঁশের খুঁটি বসিয়ে লম্বা লম্বা সারি করা হয়েছে। এছাড়া ছাগল ও ভেড়ার জন্য সুনির্দিষ্ট জায়গা দেয়া হয়েছে। উপজেলাসহ ও পার্শবর্তী উপজেলা এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা গরু, মহিষ, ছাগল বেড়া নিয়ে এসেছে এ হাটে। প্রতি শনিবার (১৫ জুন) সাপ্তাহিক হাটে সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। শত বছর পুরনো এই হাটে বিগত ১০ বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ গরু উঠেছে। গরুর দামও মোটামুটি অনেক কম, তাতে ক্রেতা-বিক্রেতারা অনেক খুশি। হাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে ইকবাল হোসেন জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবার গরু-ছাগল রেকর্ড পরিমান উঠেছে এবং বিক্রিও হয়েছে অনেক। তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি গরু বিক্রি হয়েছে এবার। গোপালপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে পূর্বের মতো এবারও কোরবানির পশুর হাট বসেছে। হাটটিতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে। গোপালপুরহাট ইজারাদার ভলেন্টিয়ার ও কর্তৃপক্ষ সার্বিক সহযোগিতা রয়েছে। আমরা হাটটিতে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া রাখার যেমন সুব্যবস্থা তৈরি করেছি। তেমনি বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত পাইকারদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। আমাদের এখানে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সুবিধার্থে আমরা সরকার নির্ধারিত হাশিল থেকে কম হাশিল নিচ্ছি। আমাদের এই হাটে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারদের পশু নিয়ে আসার আহবান জানাই।
এদিকে ধনবাড়ী উপজেলার নুরুল্লাহ থেকে কালা চাঁন বেপারী এ হাটে ২০টি গরু নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, হাটের সুসজ্জিত পরিবেশ ও নিরাপত্তা দেখে আমি অনেক সন্তুষ্ট। ইজারাদারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। হাটে বিক্রিও জমজমাট। ক্রেতাদের আনাগোনা বেশ ভাল। অনেকে গরুর দর-দাম করছেন। গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক পাইকাররা তাদের সুবিধা মতো দাম হাকছেন। আমরা পাইকাররা এ হাটের পরিবেশ নিয়ে আনন্দিত। আশা করছি ভালোভাবেই গরু বিক্রি করতে পারবো। উপজেলার মুজিবপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, দুটি গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। আমাদের গরুটি লালন পালন করতে যে অর্থ খরচ হয়েছে সে খরচ তুলনায় দাম অনেক কম হয়। তাই বিক্রি করতেছি না, ভালো দাম পেলে গুরু অবশ্যই বিক্রি করব।