সাদ্দাম ইমন ॥
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসাখানপুর এলাকায় নির্মিত হচ্ছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। খেলোয়াড় ও ক্রীড়ামোদী দর্শকদের অনেক দিনের কাঙ্খিত আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। এখন আর টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে ফুটবল আর ক্রিকেট আয়োজনে সমস্যা হবে না। দুটি মাঠ ফুটবল আর ক্রিকেটের পাশাপাশি এ্যাথলেটিক্স, ভলিবল, হাডুডুসহ অন্যান্য খেলা আয়োজনে সার্থক হবে।
শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বাসাখানপুর এলাকার সবুজ শ্যামলে ভরা গ্রামীণ পরিবেশে তৈরি হচ্ছে। শহর থেকে এই মাঠে যেতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। শহরের ক্রীড়ামোদীরা চাইলেই মাত্র ১০টাকায় অটো ভাড়ায় দিয়ে সরাসরি মাঠের দর্শক হতে পারবেন। মাঠের কাজ শেষ হওয়ার পথে। তাই প্রতীক্ষা আর বেশী নয়, একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে এই মাঠের শুভ উদ্বোধন হবে জানা যায়।
টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্র টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে জানায়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত দেশের ১৮৬টি উপজেলায় ১৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইল সদরের বাসাখানপুর এলাকায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এই মিনি স্টেডিয়ামটি বিগত ২০২৩ সালে (২০ মে) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বাসাখানপুরে এসে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় টাঙ্গাইল সদর আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইলের সাবেক জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মোহাম্মদ আলী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুল অনুপমসহ কর্মকর্তা, খেলোয়াড় ও ক্রীড়ামোদীরা উপস্থিত ছিলেন। এই মিনি স্টেডিয়ামটি নিমার্ণ করছেন শরীফ এন্ড সন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম।
টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টু টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে জানান, সরকার ঘোষিত দেশের প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বাসাখানপুর এলাকায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের ৯০ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। একটি তিন তলা অফিস কক্ষসহ প্যাভিলিয়নের সাথে দক্ষিণ এবং পশ্চিম পাশে ২টি গ্যালারি প্রস্তুত করা হয়েছে। জানা গেছে, গ্যালারি এবং প্যাভিলিয়নসহ দর্শক ধারণ ক্ষমতা প্রায় তিন হাজার। গ্যালারি এবং প্যাভিলিয়নের কাজ শেষ হয়েছে। এখন স্টেডিয়ামের মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে। বর্তমানে মাঠে মাটি ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক লাইনের কাজও শেষের পথে। তিনি টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে আরো বলেন, মাঠের পূর্ব পাশের জমি টুকু ক্রয় করতে পারলে মাঠটি আরও অনেক বড় হবে। এই মাঠটি মূলত ফুটবলের জন্য গড়ে তোলা হলেও সময় সুযোগ পেলে এ্যাথলেটিক্সসহ অন্যান্য খেলার আয়োজন করা হবে। স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হলে একটি ফুটবল খেলার মাধ্যমে মাঠটি উদ্বোধন করা হবে। টাঙ্গাইলের খেলোয়াড়রা দুটি স্টেডিয়াম পেয়ে অনেক খুশি। এছাড়া খেলোয়াড়রা বিভিন্ন খেলায় যেভাবে অবদান রেখে যাচ্ছে, তাতে এই মাঠটি টাঙ্গাইলে খেলাধূলাকে আরো এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।