স্টাফ রিপোর্টার ।।
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ঝিনাই নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ। স্থানীয় জনগনের কাছ থেকে নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে তিনি শনিবার (২২ জুন) নৌকা যোগে নদী ভাঙ্গন কবলিত ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর পশ্চিমপাড়া, সুতানরি, থলপাড়া, বানকাটা এলাকা পরিদর্শন করেন।
জানা গেছে, মির্জাপুরে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে ধর্মীয় স্থাপনাসহ পাঁচ গ্রামের শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি। ইতোমধ্যে অনেকে তাদের ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত কয়েক দিনে উপজেলার ফতেপুর এলাকায় ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে ইউনিয়নের ফতেপুর পশ্চিমপাড়া, সুতানরি, থলপাড়া, বানকাটা, থলপাড়া মাদ্রাসাপাড়া ও বানকাটা গ্রামের মসজিদসহ এলাকায় বহু পরিবার। এছাড়া গ্রামগুলোর ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, মসজিদ ও কবরস্থানও পড়েছে হুমকির মুখে।
বানকাটা গ্রামের বিল্লাল হোসেন জানান, তারা চার ভাই নদী ভাঙনের কবলে পড়ে তাদের বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। তারা এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
একই কথা জানান বানকাটা গ্রামের বেলায়েত হোসেন। তিনিও ভাঙনের ভয়ে তার বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুর রউফ বলেন, নদী ভাঙনের খবর পেয়ে শনিবার (২২জুন) সকালে সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ ভাঙনকবলিত গ্রামগুলো পরিদর্শন করেন।
এসময় টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম তার সঙ্গে ছিলেন। পরিদর্শনকালে সংসদ সদস্য আগামী দুই দিনের মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার জন্য প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামকে নির্দেশ দেন।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফতেপুর এলাকার নদী ভাঙনের খবর তিনি পেয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।