
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে ধর্মীয় স্থাপনাসহ পাঁচ গ্রামের শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি। ইতোমধ্যে অনেকে তাদের ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে।
স্থানীয়রা টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে জানায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুইদিনে উপজেলার ফতেপুর এলাকায় ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ইউনিয়নের ফতেপুর পশ্চিমপাড়া, সুতানরি, থলপাড়া, বানকাটা, থলপাড়া মাদ্রাসাপাড়া ও বানকাটা গ্রামের মসজিদসহ এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের কবলে ওই গ্রামগুলির ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, মসজিদ ও কবরস্থান হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে গ্রামগুলির অনেক পরিবার তাদের বসতঘর সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। এছাড়া বানকাটা গ্রামের মসজিদ ও থলপাগা গ্রামের কবরস্থান হুমকির মুখে পড়েছে।
বানকাটা গ্রামের বিল্লাল হোসেন টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে জানান, তারা চার ভাই নদী ভাঙনের কবলে পড়ে তাদের বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। তারা এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। একই কথা জানান বানকাটা গ্রামের বেলায়েত হোসেন। তিনিও ভাঙনের ভয়ে তার বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুর রউফ টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে বলেন, নদী ভাঙনের খবর পেয়ে সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ ভাঙন কবলিত ওই গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছন। এ সময় টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম তাঁর সঙ্গে ছিলেন। এ সময় সংসদ সদস্য আগামী দুইদিনের মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ জন্য প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামকে নির্দেশ দেন।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে বলেন, ফতেপুর এলাকার নদী ভাঙনের খবর তিনি পেয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।