টাঙ্গাইলে ৩ জনকে হত্যা করেন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য কনক

আইন আদালত গোপালপুর ঘাটাইল টাঙ্গাইল লিড নিউজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে টাকা নিয়ে চাকরি দিতে না পারায় ৩ জনকে হত্যার পর লাশ গুম করেন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য মোহাম্মদ কনক (২৮)। অবশেষে বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজ উদ্দিন ফরাজীর আদালতে চাকরিচ্যুত ওই সেনা সদস্য মোহাম্মদ কনক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মোহাম্মদ কনক (২৮) টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি দক্ষিনপাড়া গ্রামের তালেব আলীর ছেলে। বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার গোলাম সবুর প্রেস বিফ্রিং এ তথ্য জানান।
এ সময় পুলিশ সুপার গোলাম সবুর আরও বলেন, জেলার ঘাটাইল, গোপালপুর এবং জামালপুরের ৩ যুবকের কাছ থেকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রতারক কনক ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে কনক ওই তিনকে সেনাবাহিনীর সীল স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেন। পরবর্তীতে তাদের চাকরিতে প্রেরণ করতে না পেরে চলতি বছরের গত (৩১ জানুয়ারি) কনক ও তার সহযোগী মিলে সজিবকে সুপরিকল্পিভাবে হত্যা করে। একই কায়দায় গত (২ মার্চ) আতিক হাসানকে মধুপুরের পাহাড়ী এলাকায় আনারস বাগানে সুকৌশলে নিয়ে তারা গলাটিপে হত্যা করে। সর্বশেষ গত (৩ মার্চ) রাতে উজ্জলকে টাঙ্গাইল শহরের আট পুকুরপাড় এলাকায় গলাটিপে হত্যা করা হয়। এদের তিনজনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে গুম করেন চাকরিচ্যুত ওই সেনা সদস্য কনক ও তার সহযোগী। পরে তারা পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, তাদের কোন সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সদ্যসরা সেনা বাহিনীর কাছে বিষয়টি অবগত করেন। পরে সজিবের পিতা বাদী হয়ে কনকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। আদালতের নির্দেশে পিটিশনটি ঘাটাইল থানায় মামলা করা হয়। একই সাথে আতিক হাসানের পিতা বাদী হয়ে কনকসহ ৪ জনের নামে গোপালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ঘাটাইল থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে জানতে পারে কনক জামালপুর সদর থানায় এশটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জামালপুর কারাগারে আটক রয়েছেন। পরে ঘাটাইল থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে দুইদিনের রিমান্ডে এনে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কনককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে কনক পুলিশের কাছে ৩ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

 

 

১৬৫ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *