স্টাফ রিপোর্টার ॥
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ’৭৫ সালে আওয়ামী লীগের নেতারা ইঁদুরের গর্তে লুকিয়েছিলো। আজকে আওয়ামী লীগের নেতারা ইঁদুরের গর্তে নয়, বাইতানের গর্তে লুকিয়েছে। আমি বলবো, তোমরা গর্তে লুকিয়ে থেকো না। শেখ হাসিনা আর বঙ্গবন্ধু এক কথা না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পোড়া, ধ্বংস করা এটা বাংলার মানুষ কোনভাবে মেনে নেবে না। বঙ্গবন্ধু আর স্বাধীনতা এক জিনিস, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ এক জিনিস। বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হলে মুক্তিযুদ্ধ করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হলে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হয়।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইল শহরের সন্তোষে মাওলানা ভাসানীর মাজার জিয়ারত শেষ তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয়ভাবে শোক দিবস পালন করা হয়েছে। আমি জানিনা এ সরকার কি করবে। কিন্তু আমি চাই জাতীয়ভাবে শোক দিবস পালন করা হোক। পুলিশদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা থানায় ফিরে যাও। এত বীর সাজছিলা একসময়, অন্যায় হুকুম পালনের জন্য। আজকে ন্যায়ের হুকুম, আইনের হুকুম তোমরা মানবে। আইনের বাইরে তোমরা পা ফেলবে না। তোমাদের কেউ কিছু বলবে না। আইন মতো চললে যদি কেউ তোমাদের কিছু বলে, আমরা তোমাদের পাশে আছি, এদেশের জনগণ পাশে আছে। তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুদিন পর আমি হুজুর মাওলানা ভাসানীর মাজারে এসেছি। এই জন্য মাজারে এসেছি, আগামী ১৬ আগস্ট আমি টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর মাজারে যাবো। বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতে যাবো। আমি ঘোড়া ডেঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়া পছন্দ করি না। আমি জানি হুজুর মাওলানা ভাসানী না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। হুজুর মাওলানা ভাসানী না হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হতেন না। সেই জন্য আমি আগে হুজুর মাওলানা ভাসানীর কবর জিয়ারত করতে এসেছি। তার কাছে দোয়া চাইতে এসেছি।
এ সময় তার সঙ্গে তার দুই ভাই সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও কালিহাতী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, মাওলানা ভাসানীর নাতি হাসরত খান ভাসানীসহ শতাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।