
কালিহাতী প্রতিনিধি ॥
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীর বাসায় আগুন-লুটপাট, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনছার আলীর বাড়িতে ভাংচুর-লুটপাট, সহ-সভাপতি এমএ মালেক ভূঁইয়ার ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানে হামলা, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোল্লা’র ব্যক্তিগত অফিস ভাংচুর, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিরের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি আগুনে পুড়ানো, যুগ্ম সম্পাদক শরিফ আহমেদ রাজুর বাড়িতে ভাংচুর, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অজয় কুমার দে সরকার লিটনের বাড়িতে ও ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর-লুটপাট, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আতোয়ার রহমান সিদ্দিকী স্বপনের বাড়িতে ভাংচুর, গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ’র ব্যক্তিগত অফিস ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও একই দিন সাবেক সাংসদ সোহেল হাজারীর ঘনিষ্ঠ কর্মী শরিফ সিদ্দিকীর বাসায় হামলা ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়ে আসবাবপত্র লুট ও নিশ্চিহ্ন করাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের আরও বিভিন্ন নেতাদের বাড়িতে হামলা-লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে এঘটনার পর থেকে আতংকে আওয়ামী লীগের নেতারা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে রয়েছেন বলেও জানা গেছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির মুঠোফোনে জানান, ২৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি কালিহাতী বাসীর কোন ক্ষতি করিনি। যারা আমার এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বাড়ি ঘরে হামলা-ভাংচুর ও মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে তাদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং কালিহাতী বাসীর নিকট সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার প্রার্থনা করছি।