কালিহাতীর সাতকুড়া-সহদেবপুরে ৬৫ মিটার দৈর্ঘ্য ব্রিজ নির্মিত

কালিহাতী টাঙ্গাইল লিড নিউজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের কালিহাতী সাতকুড়া-সহদেবপুর ঘোড়ামরা দহ্’র উপর ৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজ ৫ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। ব্রিজটি উদ্বোধনের আগেই ড্রিল মেশিন দিয়ে হাজারটা নাট স্ক্রুপ ব্যবহারে আলোকসজ্জায় রেস্টুরেন্ট করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, দুর্গা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কালিহাতীর সাতকুড়া-সহদেবপুর ঘোড়ামরা দহ্’র উপর ব্রিজটি নির্মাণ সম্পন্ন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে নৌকা দিয়েই স্থানীয়দের যাতায়াত করতে হতো। ব্রিজটি নির্মাণ কাজ করায় স্থানীয়দের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের আশা করলেও ব্রিজটি এখন গলার কাটা হয়েছে। ব্রিজটি কয়েক মাস আগে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও উদ্বোধনের আগেই এলাকার দুইজন কতিপয় লোক ব্রিজের বিভিন্ন অংশে ড্রিল মেশিন দিয়ে নাট স্ক্রুপ লাগিয়ে ইলেকট্রিক পাইপ দিয়ে বৈদ্যুতিক মিটার বসিয়ে আলোকসজ্জায় ব্রিজের উপরে রেস্টুরেন্ট করে জনসাধারণের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এ রেস্টুরেন্টের উভয় পাশে চেয়ার টেবিল দেওয়ার কারণে একটি ভ্যান যাওয়ারও জায়গায় থাকে না।

কথা হয় কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন ছাত্রের সাথে। তারা বলেন, সাতকুড়া ছোট্ট একটি গ্রাম। ভৌগলিক দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে আছে। এই গ্রামের মানুষ কিছু বলতে সাহস পায় না। আর অপু এবং পান্তর বাড়ি সহদেবপুর গ্রামে তাদেরকে নাকি কোন রাজনৈতিক নেতার সাপোর্ট দেয়। ব্রিজের দুই পাশে ইলেকট্রিক পাইপ দিয়ে ৩২টি লাইট লাগিয়েছে। এছাড়া এখানে অন্য কেউ কোন দোকান বসতে চাইলে তাকে বসতে দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে পান্তর সাথে ফোনে কথা হয় সে জানায়, কোনো প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেই আমরা সৌন্দর্যের জন্য আলোকসজ্জা করেছি। আর ব্রিজটা আমার বাড়ির পাশে। ব্রিজের লাভ-ক্ষতি আমরা বুঝবো, সেটা আপনাদের দেখার বিষয় না।
সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান খান ফরিদ জানান, ব্রিজে যারা এই কাজ করেছে তারা আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের ব্রিজ থেকে সব সরিয়ে নিতে বলেছি।
এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর সহদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে বলে দিয়েছি সব খুলে ফেলতে। তাতেও যদি না খুলে প্রশাসনের নিকট আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

 

৯৫ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *