স্টাফ রিপোর্টার ॥
নিত্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজ, মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে চালের। ভোজ্যতেল, চিনি, আটা, ডাল ও মাছ-মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতি কেজি ভোজ্যতেলের দাম ১২০ টাকা, চিনির দাম ৯০ টাকা ও আলুর দাম ২৫ টাকায় নামিয়ে আনার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই সঙ্গে দুর্নীতি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট ও স্বৈরাচারী রোধে একটি ট্রুথ কমিশন গঠনেরও দাবি জানিয়েছে আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মটি।
এদিকে, অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। ফের মরিচের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি মরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্বের কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। দাম কমে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ খানেক আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১০০ টাকার ওপর গুনতে হয়েছে ক্রেতাদের। এছাড়া সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির তথ্যমতে, দাম বেড়ে প্রতি কেজি সরু চাল ৬৪-৮০, মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা ৫৫-৬০ এবং স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত মোটা চাল ৫২-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
সংস্থাটির তথ্যমতে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭৫, প্রতি হালি ডিম ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কিছুটা বেড়েছে সবজির দাম। দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজিখেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে করে কমেছে সবজির উৎপাদন। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রচুর ইলিশ মাছের সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি। তবে অন্যান্য মাছ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
টাঙ্গাইল বাজারে পেঁয়াজ মুরগি ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে চালের
৬২ Views