নূর আলম, গোপালপুর ॥
মূল সড়ক থেকে বিদ্যালয় পর্যন্ত ১০০ মিটারেরও কম রাস্তা না থাকায়, ক্ষেতের আইল পাড়িয়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের শিমলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়টি বিগত ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বোরো মৌসুমে ক্ষেতের আইলে সেচের ড্রেন থাকা ও বর্ষা মৌসুমে আইলে পানি উঠায়। পা পিছলে পড়ে যাওয়া, কাপড় ভিজিয়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছানো, বই পানিতে পড়ে যাওয়াসহ নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ জানান শিশু শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের পাশে অনেক বসতি থাকায় তাদের একই ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা দ্রুত এইটুকু সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
খামার শিমলা বৃদ্ধ আব্দুস ছামাদ জানান, সামান্য একটু সড়ক না থাকায় বাচ্চাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়, এখানে দ্রুত সড়ক নির্মাণ করলে শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রাও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে। প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত রাস্তা বানিয়ে দিবে এটাই আমাদের দাবি। বিদ্যালয়ের পিটিএ কমিটির সভাপতি আকছের আলী ভোগান্তির কথা স্বীকার বলেন, আগেও অনেকবার এই রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছি। মূলত জমির মালিকদের বাধা সৃষ্টি কারনেই রাস্তা বানানো যায়নি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার বলেন, মূল সড়ক পর্যন্ত যেতে ছাত্রদের অনেক সমস্যায় হয়। আমার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সন্তোষজনক, দ্রুততম সময়ে রাস্তাটি বানানো হলে ছাত্র আরো বাড়বে। বিদ্যালয়ের আরেকটা ভবন ও ওয়াশব্লক নির্মাণ জরুরী। জমিগুলো আমাদের আত্মীয়ের। তাদের সাথে আলোচনা করবো।
এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মফিজুর রহমান বলেন, এটুকু রাস্তা না থাকায় ওই বিদ্যালয়ে যেতে আমাদেরও সমস্যা হয়। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে, ইউএনও মহোদয় যেহেতু প্রশাসনিক প্রধান তাকে বিষয়টি অবগত করবো।