
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চাঁদাবাজি ও মারামারির ঘটানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীসহ ৩২ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া জানান, উপজেলার গোড়াই আঞ্চলিক শাখা শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ সিকদার বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন।
টাঙ্গাইলের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামীদের নামে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভূক্ত করার নির্দেশ দেন।
মামলায় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহ আলমসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর পরই ১ ও ২ নাম্বর আসামীর নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা গোড়াই শিল্প এলাকার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই ওভার ব্রীজের নিচে থাকা কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে নিয়মিত চাঁদা উত্তোলন করে আসছিল। এতে বাদীসহ কয়েকজন মিলে তাদের বাধা নিষেধ করলে আসামীরা তাদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করাসহ ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।
গত ২ অক্টোবর সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে আসামীরা ওভার ব্রিজের নিচে থাকা কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের নিকট হতে প্রকাশ্য চাঁদা উত্তোলন করলে শ্রমিক দল কর্মী আনিছ সিদ্দিকী বাধা দিলে উল্লেখিত আসামীরা আনিছকে এলোপাথারি মারপিট করে আহত করে। পরদিন মঙ্গলবার সন্ধা সাড়ে ছয়টার দিকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে গোড়াই শিল্পাঞ্চল শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে ১ ও ২ নাম্বার আসামীর নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা ছেনি, পাচাতি, লাঠি-সোটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে গোড়াই শিল্পাঞ্চল শাখার শ্রমিক দলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম (৪১) শ্রমিক দল নেতা রাশেদ (৩০), কালাম (৩০) ও রবিন শেখ (৩০) সহ ১০ জন আহত হয় এবং তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।