বৃহস্পতিবার, মে ২২, ২০২৫
Tangail News BD
No Result
View All Result
  • Login
  • হোম
  • সর্বশেষ
  • লিড নিউজ
  • টাঙ্গাইল স্পেশাল
  • টাঙ্গাইলের রাজনীতি
  • আইন আদালত
  • টাঙ্গাইলের খেলাধুলা
  • টাঙ্গাইল
    • টাঙ্গাইল সদর
    • ধনবাড়ী
    • মধুপুর
    • গোপালপুর
    • ভূঞাপুর
    • কালিহাতী
    • ঘাটাইল
    • দেলদুয়ার
    • নাগরপুর
    • বাসাইল
    • মির্জাপুর
    • সখিপুর
  • অন্যান্য
    • অপরাধ
    • টাঙ্গাইলের শিক্ষাঙ্গন
    • টাঙ্গাইলের কৃষি ও ব্যবসা
    • দুর্নীতি
    • স্বাস্থ্য
    • তথ্য ও প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • ভিডিও
    • সম্পাদকীয়
    • নিজস্ব মন্তব্য
SUBSCRIBE
Tangail News BD
  • হোম
  • সর্বশেষ
  • লিড নিউজ
  • টাঙ্গাইল স্পেশাল
  • টাঙ্গাইলের রাজনীতি
  • আইন আদালত
  • টাঙ্গাইলের খেলাধুলা
  • টাঙ্গাইল
    • টাঙ্গাইল সদর
    • ধনবাড়ী
    • মধুপুর
    • গোপালপুর
    • ভূঞাপুর
    • কালিহাতী
    • ঘাটাইল
    • দেলদুয়ার
    • নাগরপুর
    • বাসাইল
    • মির্জাপুর
    • সখিপুর
  • অন্যান্য
    • অপরাধ
    • টাঙ্গাইলের শিক্ষাঙ্গন
    • টাঙ্গাইলের কৃষি ও ব্যবসা
    • দুর্নীতি
    • স্বাস্থ্য
    • তথ্য ও প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • ভিডিও
    • সম্পাদকীয়
    • নিজস্ব মন্তব্য
No Result
View All Result
Tangail News BD
No Result
View All Result
Home কৃষি

মধুপুরে বিলুপ্তির পথে বহু বর্ষজীবী গাদিলা বৃক্ষ

অক্টোবর ৭, ২০২৪
A A
ভূঞাপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল কলেজ ছাত্রের

ভূঞাপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল কলেজ ছাত্রের

৩৪ Views

স্টাফ রিপোর্টার ॥
খুব বেশি দিনের কথা নয়। সত্তর দশকের শেষের দিকেও দেশের তৃতীয় বৃহত্তর লালমাটির টাঙ্গাইলের মধুপুর বনেও আধিক্য ছিল গাদিলা গাছের। বহু বর্ষজীবী এ গাছটির পাতা ছিল ঐ সময়ে চাহিদার শীর্ষে। বনাঞ্চলের মানুষের কাছে অতি প্রিয় একটি গাছের নাম। টেকসই দেশি প্রজাতির গাদিলার পাতা ছিল মোটামুটি বড় সাইজের। ছিল শিরা উপশিরায় বিভক্ত। এ পাতা দিয়ে তৈরি হতো বিড়ি। পাতা কেটে সাইজ মতো ভেতরে তামাক ভরে সুতা দিয়ে বেঁধে বিড়ি বানানোর কোন জোড়ি ছিল না। অবশ্য তখনও কাগজের বিড়ির তেমন প্রচলন শুরু হয়নি। করাচিতে পাতা যেত পূর্ববাংলার এজেন্সিদের মাধ্যমে। ওই দেশেই বিড়ি হিসেবে দেদারসে চলতো। এদেশেও অনেকেই বিড়ি বানিয়ে তৃষ্ণা মেটাত ধুমছে। বৃদ্ধরা হুক্কা আর যুবক থেকে শুরু করে কৃষক রাখাল আউল বাউল তাঁতি কামার কুমারসহ সব বয়সীদের কাছে প্রিয় ছিল গাদিলা পাতার বিড়ি। ক্রমাগত বন উজাড়ের ফলে এ গাছটির অস্তিত্ব প্রায় বিলীনের পথে। মধুপুর বনে এখনও দেখা মেলে প্রাচীন এ বৃক্ষটির। অনেকেই হারানো দিনের পেশাকে এখনও বুকে আগলে রেখেছেন অসীম মায়া মমতায়। তাদের দাবি, সামাজিক বনায়ন বন্ধ করে প্রাকৃতিক বনের অবয়ব ফিরে আনা গেলেই আবার গজারির আজুলি হিজল সিদা বট গাদিলার রাজত্ব ফিরে আসবে বলে মনে করেন বনপ্রেমী বনবাসীরা।
মধুপুরের জলসত্র, গাছাবাড়ি, অরনখোলা, পিরোজপুর চাপাইদ, মালিবাজার, দোখলা, পীরগাছা, বেরিবাইদ, আমলিতলাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গাদিলা গাছকে ঘিরে নানা কথা। বেড়িয়ে আসে পাতা দিয়ে তৈরি বিড়ি নিয়ে নানা অজানা তথ্য। স্থানীয়রা জানালেন, মধুপুর বন একসময় ছিল গহিন অরণ্য। ছিল শাল গজারির অবারিত সবুজ আচ্ছাদন। লাল মাটির বৈচিত্র্যময় গজারি, আজুলি, আনাইগোটা, পিল্লাগোটা, বেহুর, তিতিজাম, গাদিলা, সিদা, জারুল, অর্জুন, বানরনড়ি, শিমুল, গামার, মনকাটা, বট, বনজাম, বনআলুসহ নানা প্রজাতির বৃক্ষে ছিল সজ্জিত। অরণ্যচারী আদিবাসী গারো কোচ বর্মণ সম্প্রদায়ের লোকেরা জুম চাস থেকে শুরু করে বন আলু সংগ্রহ করতো। আবার বনের লতাপাতা সংগ্রহ করে খেত স্থানীয়রা। গ্রাম্য কবিরাজরা বনের নানা ভেষজ লতা পাতা দিয়ে চিকিৎসা করতো। গাদিলা ছিল ওই সময়ের অর্থকরী যোগানের মধ্যে অন্যতম।
স্থানীয়দের মতে, গাদিলা গাছের আধিক্য থাকার কারণে বনের চারপাশের অধিকাংশ মানুষ পাতা আহরণ, শুকনো ও প্রক্রিয়াজাত করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কার্তিক মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত পাতা আহরণের ধুম পড়ত। এজেন্টের মাধ্যমে করাচি যেত। সেখানে বিড়ি তৈরি করা হতো। তাদের মতে, এ দেশেও পাতার বিড়ি তৈরি হতো। সবাই তখন পাতার বিড়ি আর হুক্কা খেত। জনপ্রিয় ছিল পাতার তৈরি বিড়ি। গাছ থেকে পাতা তোলে সিদ্ধ করে শুকানো হতো। তবে গাছ থেকে ছিড়ে সুইচা দিয়ে সুতা বেঁধে সিদ্ধ ও শুকিয়ে বান্ডিল করে এজেন্টদের কাছে নিয়ে বিক্রি করা হতো। এভাবে গাদিলা পাতা দিয়ে বিড়ি তৈরির উপকরণ হতো।
উজান গাছাবাড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গাদিলা পাতা শুকানো ও প্রক্রিয়াজাত করার মনোরম দৃশ্য। দুচালা টিনের ঘর। চারপাশে কোনো বেড়া নেই। পড়ে থাকা ঘরটিতে স্বামী স্ত্রী দম্পতি দুজনে মিলে রশি টানিয়ে গাদিলার মরিচা রঙের পাতাগুলো লাইন করে বেঁধে দিচ্ছে। পাতাগুলো লম্বাটে, প্রশস্ত মোটামুটি। দেখতে অনেকটা বড় গাছের পাতার মতো।
রমজান আলী জানালেন, কয়েক বছর যাবৎ মধুপুর বন থেকে পাতা তোলে এনে সিদ্ধ করে শুকিয়ে বিশ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করেছেন। তার স্ত্রী জানালেন, আগের মত গাছ নেই। পাতাও কম। বৃদ্ধ বয়সে অন্য কাজ করতে পারেন না। তাই বনে ঘুরে ঘুরে গাদিলা পাতা এনে বিক্রি করেন। তার মতে, রমজানের বড় ভাই আগে গাদিলা পাতা বিক্রি করতেন। এখন বিড়ি নয় কয়েল তৈরি হয়। স্থানীয় কাকরাইদ এলাকার পাইকার কিনে নেন। এক সময় বিড়ি তৈরিতে জনপ্রিয় ছিল। এখন আর গাদিলা পাতার বিড়ি হয় না বলে তিনি জানালেন।
পিরোজপুর গ্রামের ছামান আলী (৭০) বলেন, তাদের পাশের গ্রামে বনে প্রচুর গাদিলা গাছ ছিল। তাদের এলাকার অনেকেই পাতা তুলেছেন। গাদিলা পাতার তৈরি বিড়ি খেতেও স্বাদ ছিল। কার্তিক মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত পাতা আহরণ করা হতো। এতে অনেকের রুটি রুজির ফিকির হতো। আনোয়ার হোসেন (৬০) বলেন, তিনি তখন ছোট ছিলেন। তখন তাদের বাড়ির চারপাশে গাদিলার অনেক গাছ ছিল। প্রতি বান্ডিল পাতা আহরণ করে তিনি ৪ টাকা পেতেন। তবে এক বান্ডিলে অনেক পাতা লাগতো। কয়েকদিন একটানা পাতা তোলে শুকিয়ে দিলে পাওয়া যেত আনুপাতিক হারে পারিশ্রমিক।
উত্তর জাঙ্গালিয়া গ্রামের হারুন জানান, তাদের বাড়ির পাশেই ঘন অরণ্য ছিল। চারদিকে নানা লতাপাতা গজারি আজুলি পিল্লাগুটা, গাদিলাসহ নানা বৃক্ষে ভরপুর ছিল। তাদের গ্রামের অনেক মানুষে গাদিলার পাতা তুলতেন। তখন অভাব ছিল। কাজের সন্ধানে অন্যত্র না গিয়ে বনের ভেতরের এজেন্টদের পাতা তোলে দিতেন। এ জন্য পাতা তোলে সিদ্ধ করে রোদে শুকিয়ে বান্ডিল করে দিতেন। বান্ডিল প্রতি পেতেন তিন চার টাকা। এভাবে পাতা তোলে জীবিকা নির্বাহ করতেন তার মত তাদের গ্রামের অনেকেই এ কাজ করতো। পিরোজপুর গ্রামের গাদিলা পাতার এজেন্ট বাদশা মিয়া বলেন, তিনি এবং প্রয়াত মেম্বার জোয়াহের আলী ওই এলাকা থেকে পাতা কিনে কাকরাইদ তৎকালীন বৃহত্তর অরণখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে দিতেন। চেয়ারম্যান ছিলেন পুরো মধুপুর বন সরকারের কাছ থেকে নিলামে ঢেকে নেয়া এজেন্ট। আহরণকারীদের দিতেন চার টাকা হারে আর তিনি পেতেন এক টাকা কমিশন। তিনি আরও জানান, এ পাতা প্রক্রিয়াজাত শেষে করাচি যেত। তার মতে, গাদিলা পাতা দিয়ে বিড়ি তৈরি হতো। একটি পাতা থেকে আকার অনুসারে চার থেকে পাঁচটা বিড়ি বানানো যেত। এ বিড়ি খেতে ভালো ছিল বলেও তিনি জানান।
নায়েব আলী জানালেন, বৈশাখ মাসে নতুন পাতা ছাড়ার পর থেকে পাতা পরিপুষ্ট হওয়ার জন্য বিষ প্রয়োগ করা হতো। যাতে অনিষ্টকারী পোকা মাকড় পাতা নষ্ট করতে না পারে। পাতা সুন্দর পরিপুষ্ট থাকলে দাম বেশি হতো। বান্ডিল হতো ভালো, মাঝারি ও নিম্ন মানের। দামের প্রকারভেদ ছিল। জলসত্র গ্রামের হারুন জানালেন, তাদের বাড়ির পাশে হক নামের একলোক দূর থেকে এসে পাতার এজেন্ট ছিলেন। স্বাধীনতার আগের করা বিল্ডিং এখনও রয়েছে জলসত্র বাজারে । হক সাহেবের নামেই সবাই এখনও চিনেন বিল্ডিংটি। বনের গাদিলা পাতা আহরণ ও প্রক্রিয়াজাত করে এ ঘরে এনে বিক্রি করতেন। তিনি পাতা তুলেছেন ও বিড়িও খেয়েছেন।
গাদিলা গজারিসহ মধুপুর বনের নানা জানা অজানা বৃক্ষ বিদায় নিচ্ছে উজাড়ের কারণে। সামাজিক বনায়নের ফলে ক্রমাগত নিশ্চিহ্ন হচ্ছে বনের আয়তন। বনের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা গেলে আবার গজিয়ে উঠতে পারে বিলুপ্ত প্রায় নানা বৃক্ষ। এমনটাই ধারণা স্থানীয়দের।

Advertisement

 

 

Advertisement

 

শেয়ার করুন
Tags: tangail newsটাঙ্গাইলটাঙ্গাইল জেলাটাঙ্গাইল নিউজটাঙ্গাইল সংবাদটাঙ্গাইলের খবরটাঙ্গাইলের নিউজটাঙ্গাইলের সংবাদমধুপুর উপজেলামধুপুরে বিলুপ্তির পথে বহু বর্ষজীবী গাদিলা বৃক্ষ
Next Post
মধুপুরে শহীদ স্মৃতি স্কুলের সাংস্কৃতিক উৎসবে আব্দুর রাজ্জাক এমপি

টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বাসা ও সড়কে জলাবদ্ধতা ॥ দুর্ভোগ চরমে

সর্বশেষ সংবাদ

নিষিদ্ধ সংগঠন টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিল ৫ দিনের রিমান্ডে

নিষিদ্ধ সংগঠন টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিল ৫ দিনের রিমান্ডে

মে ২২, ২০২৫
যমুনা সেতু-ঢাকা মহাসড়কে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে প্রশাসনের ১৭ পদক্ষেপ

যমুনা সেতু-ঢাকা মহাসড়কে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে প্রশাসনের ১৭ পদক্ষেপ

মে ২২, ২০২৫
টাঙ্গাইলে তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা সম্পন্ন

টাঙ্গাইলে তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা সম্পন্ন

মে ২২, ২০২৫
মির্জাপুরে সড়কে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করায় ৩ ব্যবসায়ীর জরিমানা

মির্জাপুরে সড়কে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করায় ৩ ব্যবসায়ীর জরিমানা

মে ২২, ২০২৫
নাগরপুরে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে যৌথ বাহিনীর মহড়া

নাগরপুরে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে যৌথ বাহিনীর মহড়া

মে ২২, ২০২৫

সম্পাদক ও প্রকাশক

ইফতেখারুল অনুপম

বার্তা বিভাগ

যোগাযোগ: ০১৮১৬২৭৪০৫৫, ০১৭১২৬৯৫৪৪৬
ঠিকানা:
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ মার্কেট (২য় তলা) সিডিসি’র দক্ষিণ পাশে, খালপাড় গলি, নিরালা মোড়, টাঙ্গাইল-১৯০০
ই-মেইল:
tangailnewsbd@gmail.com
ianupom@gmail.com

Tangail News BD

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি

Design & Developed by Tangail Web Solutions

  • About Us
  • Contact Us
  • Privacy Policy
  • Cookies Policy
  • Terms and Conditions
No Result
View All Result
  • হোম
  • সর্বশেষ
  • লিড নিউজ
  • টাঙ্গাইল স্পেশাল
  • টাঙ্গাইলের রাজনীতি
  • আইন আদালত
  • টাঙ্গাইলের খেলাধুলা
  • টাঙ্গাইল
    • টাঙ্গাইল সদর
    • ধনবাড়ী
    • মধুপুর
    • গোপালপুর
    • ভূঞাপুর
    • কালিহাতী
    • ঘাটাইল
    • দেলদুয়ার
    • নাগরপুর
    • বাসাইল
    • মির্জাপুর
    • সখিপুর
  • অন্যান্য
    • অপরাধ
    • টাঙ্গাইলের শিক্ষাঙ্গন
    • টাঙ্গাইলের কৃষি ও ব্যবসা
    • দুর্নীতি
    • স্বাস্থ্য
    • তথ্য ও প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • ভিডিও
    • সম্পাদকীয়
    • নিজস্ব মন্তব্য

Design & Developed by Tangail Web Solutions

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In