
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ও হামলা চালানোর অভিযোগে পৃথক দুই মামলায় তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১৪ ৩নং কোম্পানি কমান্ডার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
র্যাব-১৪ জানায়, টাঙ্গাইল শহরের বটতলায় আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সহিদুল ইসলাম সমেজকে (৬০) শহরের ধুলেরচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরদিকে, টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালানোয় নিহত ছাত্র ইমন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- মির্জাপুরে নাসির গ্লাস ইন্ডাস্ট্রি এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃত পাকুল্যা বাইপাস সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) এবং একই উপজেলার দুল্লা বেগম এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃত ভাতগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম বাচ্চু (৬৪)।
র্যাব-১৪ প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলামের নেতৃত্বে একদল র্যাব সদস্য সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদেরকে টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল শহরের বটতলায় গত (৪ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগে আহত লাল মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকসহ ২৩০ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০০-১৫০জনকে আসামি করে গত (৩১ আগস্ট) টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, একইদিন মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে মহাসড়কের উপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালানোয় নিহত ছাত্র ইমনের ভাই সুমন মিয়া বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়।