করটিয়া আবেদা খানম গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সীমানা প্রাচীর ভেঙে খালে

টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল সদর লিড নিউজ শিক্ষা

বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী ॥
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের বাণিজ্যিক এলাকা করটিয়া ইউনিয়নে আবেদা খানম গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সীমানা প্রাচীর ভেঙে খালে পড়ে গেছে। সীমানা প্রাচীর ভেঙে যাওয়ায় চুরিসহ নানা শঙ্কার আশঙ্কা করছেন ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আহসান হাবীব।
জানা গেছে, বিগত ১৯৪১ সালে দেড় একর জমির উপর তৎকালীন জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নী করটিয়া আবেদা খানম গার্লস হাই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি নারী শিক্ষায় ব্যাপক ভুমিকা রাখে। পরে স্কুলটি উচ্চ মাধ্যমিক তরে রূপান্তর করা হয়। বর্তমানে স্কুল ও কলেজে দুই হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ৩৪ জন শিক্ষক রয়েছে। এর মধ্যে ২৯ জন এমপিওভুক্ত। এছাড়া ৬ জন কর্মচারীদের মধ্যে ৩ জন এমপিওভুক্ত। সম্প্রতি সারাদেশে টানা বৃষ্টির কারণে আবেদা খানম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সীমানা প্রাচীরের পুর্ব অংশের একশ’ ফুটের মতো ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। সীমানা প্রাচীর খোলা হওয়ায় যেকোন সময় চুরিসহ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের নানা সমস্যার আশঙ্কা করছেন ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আহসান হাবীব।
বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীরা জানায়, তাদের ওয়াশরুমের পাশের দিকটা ভেঙে যাওয়ায় তারা ওয়াশরুমে যেতে পারছেন না। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ক্লাস চলে। এর মধ্যে ওয়াশরুমে যেতে না পারায় নানা ভোগান্তি পোহাচ্ছে তারা। দ্রুত এই সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দাবি জানায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
একাধিক শিক্ষকরা জানায়, স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রায় দুই হাজারের মতো ছাত্রী রয়েছে। তারা ক্লাসে আসে হাজিরা খাতায় নাম উঠে। আমাদের না জানিয়ে ওই ভাঙা পাশ দিয়ে স্কুল ও কলেজ ফাঁকি দিয়ে ছাত্রীরা চলে যেতে পারে। রাস্তায় কোন সমস্যায় পড়লে তাদের অভিভাবকদের জবাব দেওয়ার উপায় নেই আমাদের।
এ বিষয়ে আবেদা খানম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আহসান হাবীব জানান, সম্প্রীতি টানা বর্ষনের কারণে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে প্রায় দশ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতো বড় কাজ বিদ্যালয়ের পক্ষে নির্মাণ করা সম্ভব নয়। যেহেতু এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক, সেহেতু জেলা প্রশাসকের নিকট নির্মাণের দাবি জানান তিনি। বিদ্যালয়ে অনেক মুল্যেবান জিনিষ রয়েছে। দ্রত এই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা না হলে যেকোন সময় চুরির আশঙ্কা রয়েছে।

 

 

৫৪ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *