
সাদ্দাম ইমন ॥
ভারত থেকে ডিম আমদানি করেও বাজারে দাম কমেনি পণ্যটির। উলটো টাঙ্গাইলের বাজারে ডিমের দাম আরো বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমে ৫ টাকা বেড়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের বাদামি রংয়ের ডিম ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা আগের সপ্তাহে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে। অথচ গত সপ্তাহেই ভারত থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০টি ডিম আমদানি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে দেশে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হলে ভারত থেকে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। প্রথম চালানে গত বছর ৬১ হাজার ৮৫০টি ডিম আমদানি করা হয়। এবার ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০টি ডিম আমদানি করা হলো। কিন্তু টাঙ্গাইলের বাজারে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
বাজারের ডিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি পিস ডিম আকারভেদে পাইকারিতে কিনতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকায়। কেনার পর অনেক সময় সেখান থেকে ডিম ভেঙেও যায়। ফলে খুচরা বাজারে বেশি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের দাবি, সাম্প্রতিক বন্যায় খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে উৎপাদন কমেছে। আবার বছরের এ সময় সবজির দাম বেশি থাকায় ডিমের ওপর চাপ পড়েছে। ফলে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এ সময় ডিমের দাম বেশি থাকে।
টাঙ্গাইলের বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতি কেজি পটোল ৪০ টাকা, করল্লা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুমুখী ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রি করা সরকারিভাবে বন্ধ থাকায় অন্যান্য মাছের উপর প্রভাব পড়েছে। অন্যান্য মাছের দামও বেশ চড়া। এর মধ্যে চাষের পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, নলা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।