সাদ্দাম ইমন ॥
পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের মতো তিন পণ্যের বাড়তি দামের কারণে টাঙ্গাইলের বাজারগুলোতে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। তবে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। ডিমের দাম কমে এলেও আবার বাড়তে শুরু করেছে। এছাড়া নিত্যপণ্যের দাম কমাতে ছয়টি পণ্য আমদানিতে শুল্ক সুবিধা দেওয়া হলেও বাজারে তার তেমন কোনো প্রতিফলন নেই। পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক সুবিধা দেওয়ার পরও প্রতিদিন বাড়ছে দেশী পেঁয়াজের দাম। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ মানভেদে ১৫০-১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়। ৬০ টাকার নিচে খুচরা বাজারে আলু পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া ডিমের দাম কমে আসার পর আবার ফের বাড়তে শুরু করেছে। টাঙ্গাইলের পার্ক বাজার, ছয়আনি বাজার, সিটি বাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলো ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারভেদে ১৬০-১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম। তবে বাজারে মৌসুমি সবজির সবররাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে সব ধরনের শাক-সবজির দাম। দাম কমে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন আগে এই কাঁচামরিচ কিনতে ভোক্তাকে ৪০০-৫০০ টাকা গুনতে হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও কম। অভিযোগ রয়েছে পেঁয়াজ, আলু, ডিমের দাম বাড়ার পেছনে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকে সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। এছাড়া বাজারে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহও ভালো। কিন্তু এরপর মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারি সংস্থাগুলো বাজার তদারকিতে গিয়ে দাম বেশি নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া পাচ্ছে।
এ কারণে প্রতিদিন টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা জরিমানা গুনছেন। কিন্তু তদারকি সংস্থাগুলো অভিযান শেষে বাজার থেকে বেরিয়ে আসলেই আবার নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি আলুতে দাম বেড়েছে ৫ টাকা এবং প্রতি ডজন ডিমে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন করে পেঁয়াজ, আলু, ডিমের দাম বাড়ার বিষয়টি নজরে এসেছে। এ কারণে বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি সিন্ডিকেট করে যারা নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়ার জন্য পাইকারি ব্যবসায়ীরা দায়ী। কারণ তারা নতুন করে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। পেঁয়াজ ও আলুর উৎপাদন ও মজুত পরিস্থিতি ভালো থাকার পরও শুধু কারসাজির কারণে দাম বাড়ছে। এছাড়া চাহিদা পূরণে সম্প্রতি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দাম কমছে না। হিমাগার মালিক ও স্থানীয় এজেন্ট ও ফঁড়িয়ার পরস্পর যোগসাজশের কারণে অস্থির হয়ে উঠছে আলুর মতো নিত্যপণ্যের বাজার। ফলে আলুর বাজারে সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হচ্ছে না।