
হাবিবুর রহমান, মধুপুর ॥
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সময় গত সপ্তাহে ন্যায্যমূল্যে শাক সবজি বিক্রি করে স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সমাজ নামের একটি সংগঠন। এ সংগঠনে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, পরিবেশের উন্নয়ন, পলিথিন মুক্ত করা, নদী দূষণ রোধসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষের মাঝে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করে গত এক সপ্তাহ। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে।
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা বাসস্ট্যান্ডে স্থাপিত তাদের ন্যায্যমূল্যের সবজি বিক্রয় কেন্দ্রে শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সমাজ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে সবজি বিক্রয় কেন্দ্র চলমান রাখা নিয়ে তুলে ধরেন তাদের পরিকল্পনার নানা দিক। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সমাজের আহবায়ক মেহেদী হাসান শিশির। এ সময় মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বক্তব্য রাখেন।
স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সমাজ সংগঠনের আমিনুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম মারুফ, ফরিদ আহমদ, শামীম, রায়হান,হান্নান, রেদোয়ানুল, সিয়াম, নাইম, হাবিব, সাফি, মাশরাফি, সোহাগ ও তানহা প্রমুখ ছাড়াও মধুপুর-ধনবাড়ি উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সমাজের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সমাজের আহবায়ক মেহেদী হাসান শিশির তার বক্তব্যে বলেন, গত এক সপ্তাহ তারা ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করে সাড়া পেয়েছেন। সাধারণ মানুষের মাঝে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করেছেন। এতে সবজি বাজারের সিন্ডিকেট কমে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করছে। এতে সাধারণ মানুষ সহজেই ন্যায্যমূল্যে সবজি ক্রয় করেছে। এজন্য তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও এক মাস সবজি বাজার চলমান রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, গত সপ্তাহ তারা নন প্রফেটেবলভাবে বিক্রি করছে। এতে তাদের প্রায় দুই হাজারের মতো টাকা লাভ হাতে আছে। এখন কম প্রফেটেবলে সবজি বিক্রি করবে বলেও জানান। কৃষি ভিত্তিক সমাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্তানদের পড়াশোনা করিয়ে অভিভাবকরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চায়। তারা ভালো কৃষক হতে চায় না। এ সময় তিনি কৃষি ভিত্তিক সমাজ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। তাদের সবজি বিক্রয় কেন্দ্র সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সহযোগিতা কামনা করেন এই আহবায়ক।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা ছাত্র সমাজের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ন্যায্যমূল্যের সবজি বাজার চলমান থাকলে সাধারণ মানুষ ন্যায্যমূল্যে সবজি ক্রয় করতে পারবে। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা থাকবে বলেও তিনি জানান।