স্টাফ রিপোর্টার ॥
কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, আজকে মওলানা আব্দুল হামিদ খাস ভাসানীর ওফাতবার্ষিকী। সরকারিভাবে সকল সময়ই সরকারে যারা থাকেন তারা এদিন উপস্থিত হন। দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা এবং সরকারের যারা দায়িত্বশীল নেতৃত্বে থাকেন। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার আজকে এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের একটা উপদেষ্টাও ওফাতবার্ষিকীতে আসে নাই। তাদের আসা উচিত ছিল। গুনিজনের কদর একমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের দল বিএনপি করে থাকে বাংলাদেশে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ভাসানীর মাজারে এসেছেন, শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ওনি যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষতায় ছিলেন। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন তখন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই ওফাত দিবসে এসেছিলেন। একমাত্র পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর কদর করে নাই। কারন আওয়ামী লীগের মধ্যে ভদ্রলোকের সংখ্যা খুবই কম, নাই বললেই চলে। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু আওয়ামী লীগকে ভদ্রলোক বলে না। এজন্য তারা গুনিজনের কদর দিতে জানে না। আজকে পতিত স্বৈরাচার গণহত্যাকারী আজকে পালিয়ে যেতে বাদ্য হয়েছেন ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে তাদের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। যারা সরকারে আসছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকার আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর এই ওফাত দিবসে আপনারা যে আসেন নাই। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নাই এজন্য কিন্তু আপনাদেরকে মশুল দিতে হবে জনগণের কাছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশের মানুষ একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশের মানুষ তাদের পছন্দের মানুষকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় দেখতে চায়। যাতে করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে জনগণের জন্য কাজ করবে। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে সেজন্য বলতে চাই। যতদ্রুত সম্ভব এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে যারা দায়িত্বে আছেন যত তাড়াতাড়ি মানুষের ভোটের অধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরত দিয়ে একটি নির্বাচন দিবেন ততই কিন্তু ভালো হবে।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি হামিদুল হক মোহন, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীমসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।