কালিহাতী/ সখীপুর প্রতিনিধি ॥
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাবলু সিকদার নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বাবলু সিকদারের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) নিহতের পিতা কামাল হোসেন বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় অভিযুক্ত হারুন মিয়াসহ ১৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কালিহাতীর নাগবাড়ী ইউনিয়নের গান্ধিনা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবলু সিকদার সখিপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।
নিহত বাবলুর চাচা মালেক মিয়া ও স্থানীয়রা জানান, নিহত বাবলু সিকদারের সাথে মাটি ব্যবসা নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল স্থানীয় বেশকয়েকজনের সঙ্গে। ঘটনার দিন শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাবলু সিকদার কাজ শেষে বাজার থেকে ফিরে সন্ধ্যার পর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। মোবাইল ফোনে বাবলুকে বাড়ি থেকে ডেকে গান্ধিনা বাজারে নেয়। পরে গান্ধিনা বাজারে ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের সামনে মা এন্টারপ্রাইজ দোকানের ভেতরে ঢুকিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা বাবলু সিকদারকে হাত-পাসহ এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। এ সময় বাবলুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা গিয়ে বাবলু মিয়ার কাছে জানতে চান- বাবুল ভাই, কারা-কারা কী করছে? তখন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বাবলু তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় জানান, কালিয়ানের বাবুলের পোলা (ছেলে) সোহেল, হারুন, গান্ধিনাপাড়ার ওর ভাগ্নেরা পাঁচ-সাতজন ছিল। আমি মনে অয় আর বাঁচমু না। এছাড়া হাসপাতালে থাকা অবস্থায় মৃত্যুর আগে স্বজনদের কাছে হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন তিনি। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে তাকে ঢাকার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সোমবার (১৮ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলুর মৃত্যু হয়। নিহত বাবলুর চাচা মালেক মিয়া আরো বলেন, এ ঘটনায় হারুনকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী আমার ভাই (নিহতের বাবা) কামাল হোসেন।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ওসি তদন্ত শরিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের পিতা কামাল হোসেন কালিহাতী থানায় বাদী হয়ে সখিপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের বাকী মিয়ার ছেলে হারুন মিয়াসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।