টাঙ্গাইলে রাস্তার জায়গা দখল ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল সদর লিড নিউজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়ায় চলাচলের রাস্তার জায়গা দখল চেষ্টা ও হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মইনুল রহমান জুয়েলের স্ত্রী সালমা আক্তার। তিনি বলেন, আমরা টাঙ্গাইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়া ও প্যাড়াডাইস পাড়ার বাসিন্দা। আমাদের বাসায় যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ দিনের ১০ শতাংশ রাস্তাটি জেলা প্রশাসক ভূমি প্রজ্ঞাপন আকারে বরাদ্দ প্রদান করেছেন। যাহা টাঙ্গাইল পৌর সভার রেকর্ড ও নকশাকৃত। এমতাবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশী এডভোকেট আলী ইমাম তপন ও তার ভাই আলী আযম রিপন উক্ত ভূমি জোর পূর্বক দখল করতে আসলে আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদসহ এলাকাবাসী বাধা প্রদান করে। এই কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে টাঙ্গাইল রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা এডভোকেট আলী ইমাম তপন গত (১৯ নভেম্বর) রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে মারামারি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদসহ এলাকার বড় ভাই মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যাহা টাঙ্গাইল সদর থানার মামলায় নং- সি আর ২৭১২/ ২৪। এই মামলায় আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল ৯নং আসামি ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদকে ১০নং আসামি করা হয়েছে। একই ঘটনায় রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গত (২১ নভেম্বর) আরও একটি মামলা দায়ের করেন। যাহা আদালতে ৩৮৮/২৪ জি আর মোকাদ্দমা হিসেবে চলমান আছে। উক্ত রাস্তাটি পাকা করন ও ড্রেনের টেন্ডার আহ্বান করার কারনে টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীরকে মামলার ১নং আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদ ও মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবল এর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার রোজি বলেন, রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আমার স্বামী। তাকে কেন এই মামলায় ২৩নং আসামি করা হয়েছে, এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ার হোসেন শহীদের স্ত্রী শামসুন্নাহার আক্তার, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা বেগম, সাজেদা বেগম, সুরাইয়া বিনতে আনোয়ার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

৩৭ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *