স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিএনপির বিরুদ্ধে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের করা মন্তব্যের প্রতিবাদে উত্তাল টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা। শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সখীপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পৌর শহরের তালতলা চত্বরে সমাবেশ করে। এ সময় কাদের সিদ্দিকী বিরোধী স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে।
সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সাজু প্রায় ১০ মিনিট বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, কাদের সিদ্দিকী বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর। এটা বাংলার মানুষ আগে বুঝতে পারে নাই। এটা প্রথমে বুঝতে পেরেছিল হাসিনা। তাই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। তাঁকে বাংলাদেশে আসতে দেয় নাই। পরে জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁকে (কাদের সিদ্দিকী) দেশে আসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, গত (৭ জানুয়ারি) যে নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার কাছ থেকে কাদের সিদ্দিকী ঢাকা-টাঙ্গাইলের বাড়ি এবং ১০০ কোটি টাকারও বেশি সুদ-ব্যাংক ঋণ মওকুফ করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বাঙালি জাতির সঙ্গে মুনাফেকি করেছিলেন। তাঁর আর বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।
শাহজাহান সাজু বলেন, কাদের সিদ্দিকী বলেছে বিএনপি নাকি চাঁদাবাজি করে, লুটপাট করে। অথচ সখীপুরের কোনো মানুষ স্বাধীনতার পরে এতো নিরাপদে থাকতে পারে নাই। যা গত (৫ আগস্টের) পরে আমরা সখীপুরকে উপহার দিয়েছি। সখীপুরের সকল স্থাপনা ও প্রশাসনকে নিরাপত্তা দিয়েছি, পাহারা দিয়েছি। কাদের সিদ্দিকী ক্ষমা না চাইলে সখীপুরে কোথাও সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে শাজাহান সাজু বলেন, কাদের সিদ্দিকীকে প্রতিহত করা হবে। ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষক দলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যেকোনো সময় নির্দেশ আসতে পারে কাদের সিদ্দিকীকে প্রতিহত করার।
সমাবেশে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম, যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিকে, শনিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে দলের বর্ধিত সভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) বলেন, আওয়ামী লীগ যে দোষে সর্বহারা হয়েছে। সরকার পতনের পর বিএনপি কিন্তু ওই দোষই করছে। জামায়াতেরা বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড দখল করে নাই, বাজার দখল করে চাঁদা নেয় নাই। বিএনপি কিন্তু এমন করছে। আগে আওয়ামী লীগ যেখান থেকে চাঁদা নিত, এখন বিএনপি সেখান থেকেই চাঁদা নেয়। হয়তো চাঁদার রেট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে যেভাবে ভাগ নেওয়া যায় সব নেয়। এটা কিন্তু জামায়াত নেয় নাই।
কাদের সিদ্দিকীর সখীপুরের বাসভবনে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ওই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছিল।