স্পোর্টস রিপোর্টার ॥
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এই গৌরব অর্জনের পিছনে অবদান রয়েছে টাঙ্গাইলের দুই যুবা ক্রিকেটার। তারা হলেন- টাঙ্গাইল শহরের প্যারাডাইস পাড়ায় জন্মগ্রহণ করা ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার রিজান হোসেন ও বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের ফুলকি দক্ষিণপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করা বাঁহাতি লেগব্রেক বোলিং অলরাউন্ডার দেবাশীষ সরকার দেবা।
ফাইনাল খেলায় রিজান ব্যাট হাতে ৬৫ বলে ৪৭ রান করেছেন। দলের লোস্কোরিং ১৯৮ রানের মধ্যে এটাই বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বোচ্চ রান। বল হাতেও রিজান ভালো করেছে। রিজান ৪ ওভার বল করে একটি মেডেনসহ ১৪ রান দিয়ে ১টি উইকেট লাভ করেছেন। তার বোলিং ইকোনমি হচ্ছে ৩.৫০। রিজান বাংলাদেশ দলের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ থেকে ফাইনাল পর্যন্ত সবকটি ম্যাচ খেলেছে এবং প্রতিটি ম্যাচেই ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের জয়ে অবদান রেখেছে।
টাঙ্গাইলের আরেক যুবা ক্রিকেটার দেবাশীষ সরকার দেবা। সে ফাইনালে ব্যাটহাতে ভালো করতে না পারলেও, বলহাতে সেই ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছে। দেবাশীষ সরকার দেবা ৬ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়েছে। ফাইনালে তার বোলিং ইকোনোমি হচ্ছে ২.৮৩।
ভবিষ্যতে রিজান ও দেবাশীষ টাঙ্গাইলের পক্ষে প্রথম বাংলাদেশের জার্সি পরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলবে এমনটাই প্রত্যাশা টাঙ্গাইলবাসীর।