স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দিয়ে রাস্তা-ঘাট এবং দোকানপাটে টাকা উত্তোলন করে ৮০ হাজার টাকায় গরু কিনে ভূরিভোজের আয়োজন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে আসাদুজ্জামান খান দারুল উলুম মাদ্রাসার আয়োজকদের বিরুদ্ধে। এমন খবর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার পর উপজেলাসহ নানা মহলে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও আসাদুজ্জামান খান দারুল উলুম মাদ্রাসার উদ্যোগে গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৩৫তম ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এদিকে উত্তোলনের টাকায় অতিথিদের ভূরিভোজের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
মুসল্লিরা জানান, মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য আমরা টাকা দেই। মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের দিয়ে টাকা উত্তোলন করানো হয়। শুনেছি এবারও ৮০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনে ভূরিভোজের আয়োজন করেছে। মাহফিলের নামে টাকা উত্তোলন করে এভাবে গরু জবাই করে ভূরিভোজের আয়োজন করার কোনো মানেই হয় না। মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান জানান, মাহফিলের অতিথিদের জন্য ৮০ হাজার টাকায় গরু কেনা হয়। সেখানে অতিথি ছাড়াও ছাত্রদের অভিভাবকরা ৪ থেকে ৫ জন করে লোক নিয়ে আসেন। মাহফিলে মোট কত টাকা উঠেছে তা এখনো হিসাব করা হয়নি। তবে গতবারের চেয়ে এবার টাকা কম উঠেছে।
উল্লেখ্য, শীতের মৌসুম এলে ভূঞাপুর উপজেলার অধিকাংশ মাহফিলগুলোতে কোমলমতি শিশু ছাত্র ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের দিয়ে উন্নয়নের জন্য টাকা উত্তোলন করা হয়। এসব মাহফিলে বেশিরভাগই অতিথিদের দাওয়াতের নামে ভূরিভোজ অনুষ্ঠান করেন আয়োজকরা। এ নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে।