স্টাফ রিপোর্টার ॥
শুকনো মৌসুমে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। এই চরাঞ্চলের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে বালু মহালের নামে ইজারা নেওয়ার পাঁয়তারার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এ নিয়ে সম্প্রতি ইজারা নেওয়া বন্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা নদী চরাঞ্চলের গাবসারা ইউনিয়নের গাবসারা, রেহাইচন্দুনী, সোহাগীপাড়া, রেহাইগাবসা, কালীপুর, নিকলাপাড়াসহ বেশকয়েকটি এলাকা নিয়ে অবৈধভাবে বালু মহালের নামে ইজারা আনার অপচেষ্টা করে আসছে কতিপয় কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা।
এসব জমিতে শুকনো মৌসুমে ধান, ভুট্টা, বাদাম সরিষা, পাট, কালাই, গমসহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষাবাদ করে দুর্গম চরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিছু অসাধু চক্র তাদের উপর জুলুম করে আসছে। ইজারা আনা বন্ধে প্রতিবাদ করলে উল্টো নানা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও সিরাজগঞ্জ থেকে বালু কিনে আনার নামে যমুনা সেতু ও সদ্য নির্মিত যমুনা রেল সেতু সংলগ্ন থেকে অবাধে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসবে মেতেছে বালুখোকোরা। সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত বালু কাটা ও উত্তোলনের কর্মযজ্ঞ। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ চরাঞ্চলের কৃষকরা ও হুমকির মুখে রয়েছে এই দুই সেতু।
এলাবাসীর পক্ষে অভিযোগকারী কৃষক মিজান মিয়া জানান, এলাকার ফসলি জমিগুলো অবৈধভাবে বালু মহালের নামে ইজারা নেওয়ার পায়তারা করছে স্থানীয় অসাধু বালুখোকোরা। এতে আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হব। ভাঙনের মুখে পড়বে ফসলি জমি, বসত-ভিটা, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম শাপলা জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। এ ব্যাপারে সপ্তাহখানেক আগে জেলা প্রশাসন থেকে একটি টিম তদন্ত করে গেছে। এলাকাবাসীরা তাদের জানায়, এসব জমিগুলো রেকর্ডকৃত সম্পতি। এ জমি ইজারা হলে চরাঞ্চলের লোকজন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পপি খাতুন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যমুনা চরের জমিগুলো ইজারা দেওয়া না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বালু উত্তোলন ও কাটার বিষয়ে আমি জানি না। কখন কাটে আমাকে অবহিত করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব।