সোহেল রানা, কালিহাতী ॥
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এলজিইডির লেভার কন্ট্রাক্ট সোসাইটি (এল.সি.এস) প্রকল্পে ১০০ জন নারী কর্মী নিয়োগে ১০ হাজার টাকা করে অন্তত ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কমিউনিটি অর্গানাইজার শিউলি আক্তারের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী নারী কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাস্তা রক্ষণাবেক্ষন কাজে লেভার কন্ট্রাক্ট সোসাইটি (এল.সি.এস) প্রকল্পে নিয়োগে নতুন নারী কর্মীদের কাছ থেকে ১৫ হাজার ও পুরাতনদের কাছ থেকে ১০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন কমিউনিটি অর্গানাইজার শিউলি আক্তার। চাকরির জন্য লাগবে বলে গত বছরের মে মাসে সহদেবপুর ইউনিয়নের টেরকি গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় কাজ চলাকালীন সময়ে ঘুষের এ টাকা নেন তিনি। অনেকেই এই টাকা যোগাড় করতে এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। কেউ কেউ আবার ধার নিয়েছেন প্রতিবেশী বা আত্মীয়দের কাছ থেকে। এই ঘুষ লেনদেনের কথা প্রকাশ করলে চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেন শিউলি আক্তার। ভুক্তভোগী নারী কর্মীরা আরও জানান, মূল বেতন থেকে কর্তনকৃত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চাইলেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন শিউলি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পতিত সরকারের সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সহায়তায় কালিহাতীতে বদলি হয়ে আসেন তিনি। দেলদুয়ার এলজিইডি থেকে কালিহাতীতে গত বছরের (৫ মে) বদলি হয়ে এসেই অবৈধ অর্থ উপার্জন ও এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যানের মেয়ে পরিচয়ে প্রভাব খাটানো শুরু করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কমিউনিটি অর্গানাইজার (সিও) শিউলি আক্তার বলেন, লেভার কন্ট্রাক্ট সোসাইটি (এল.সি.এস) প্রকল্পে নিয়োগের জন্য কর্মীদের কাছ থেকে কোনও টাকা নেইনি। এ সময় তিনি সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা আমাকে তো চিনেনই আমি চেয়ারম্যানের মেয়ে।
অভিযুক্তের এ বক্তব্য প্রদানের পরপরই বিষয়টি নিয়ে কাজ করা সংবাদকর্মীদের নিকট বিভিন্ন মহল থেকে সংবাদটি না করার অনুরোধ জানিয়ে ফোন কল আসে।
এদিকে এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আরিফ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়াও তিনি বিষয়টির সাথে আমার অফিসের ভাবমূর্তি জড়িত বলে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।