ভূঞাপুরে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে তিন পরিবারের ১০ জন অসুস্থ

অপরাধ টাঙ্গাইল ভূঞাপুর লিড নিউজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে টিউবওয়েল পানিতে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে একরাতে তিনটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পরিবারের কমপক্ষে ১০ জন অসচেতন হয়ে অসুস্থ হয়েছেন। এরমধ্যে অসুস্থ অবস্থায় ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের অনেকে সুস্থ্য বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতের কোন এক সময়ে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের দিঘুলিয়াপাড়া, ফলদা ঘোনাপাড়া ও ঝনঝনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ খবর পেয়ে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ভূঞাপুর থানা পুলিশ ভুক্তভোগীদের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের ঘরের বারান্দার টিন কেটে ঘরে প্রবেশ করে চোরচক্র। ঘরে প্রবেশ করে ঘরে থাকা স্টীলের টাঙ্ক ভেঙে আনুমানিক তিন ভরি স্বর্নালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায়।

 

অপরদিকে, একই ইউনিয়নের দিঘুলিয়াপাড়া এলাকায় আব্দুর রশিদের ঘরের টিন কেটে ঘরে ঢুকে কয়েক স্বর্ণ, রুপা, ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। তাদেরও দাবি পানির সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রশিদের ছেলে সিয়াম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একইভাবে বাদশা মিঞা (কাশেমের) দাবি রান্না ঘরে খবার বা টিউবওয়েলের পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। খাওয়ার পর তারা অচেতন হয়ে যায়। তবে তাদের কোন কিছুই নিতে পারেনি চোরচক্র। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুতই পালিয়ে যায়। তবে চেতনা নাশকের প্রভাব বেশি হওয়ায় বাদশা মিঞা, তার ছেলে শফিকুল ইসলাম ও তার পুত্রবধুসহ তিনজনকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগীর দাবি এর আগে তাদের চেতনানাশক বা নেশাদ্রব্য জাতীয় কিছু টিউবওয়েলের পানির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে তারা সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তার পুত্রবধু এখনো অসুস্থ। তার প্রভাব এখনো রয়েছে। বাদশা মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জানতে পারি আমার বাবা ও ভাইসহ হঠাৎ অসুস্থ হয়। পরে বিকালে বাড়ি এসে বাবা ও ভাইসহ তিনজনকে ভূঞাপুর হাসপাতালে ভর্তি করি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা স্থানীয় ফার্মেসী থেকে চিকিৎসা নেন। জানতে পারি গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে খাওয়ার সময় তারা টিউবওয়েল পানি খেয়েছিল। যারা খেয়ে তারাই অসুস্থ হন।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটা একটা বিরল ঘটনা। এরআগে কোথাও শুনিনি। থানা পুলিশের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে হবে। এটা একটা সংঘবদ্ধ চোরচক্র। এদের গ্রেফতারের জন্য আমরা তৎপর রয়েছি।

২৪ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *