গোপালপুর সংবাদদাতা ॥
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কৃষির উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীতে কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও উন্নয়নের জন্য দেশনেতা তারেক রহমান সাহেব এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন এলাকায় আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যা ও সমাধানের প্রক্রিয়া উদ্ভাবনের জন্য এই সম্মেলনগুলো করে যাচ্ছেন। প্রিয় বন্ধুরা আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি নাই। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর থেকেই আমি অসুস্থ অবস্থায় আছি। এলাকায় আসতে পারি নাই, এজন্য আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
সোমবার (২৭ জানুয়ারী) দুপুর ১২টায় গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদরাসা মাঠে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৩ মাসব্যাপি ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসাবে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু মুঠোফোনে এসব কথা বলেন।
এ সময় সালাম পিন্টু আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ, এলাকার জনগণ আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন। মা-বোনেরা আমার জন্য রোজা রেখেছেন, দোয়া করেছেন। তাদের দোয়া কবুল হবার কারণেই আজকে আমি মুক্ত হয়েছি। তা না হলে এই জায়গা থেকে মুক্ত হবার কোন সম্ভাবনা ছিল না।
আমি বার বার আল্লাহতায়ালার কাছে বারবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি তিনি আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছেন। আপনাদের মাঝে আসার মতো তৌফিক দিয়েছেন।
গোপালপুর উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি অধ্যাপক হাতেম আলী মিঞার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জেলা কৃষক দলের আহবায়ক দীপু হায়দার খান। বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামীমুর রহমান শামীম, গোপালপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি নেতা শাহজাহান ভিপি, শহর কৃষক দলের সভাপতি আব্দুস সালাম, উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার কামরুল ইসলাম বাবুসহ হাদিরা, নগদাশিমলা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে কৃষক, কৃষাণীরা কৃষকের কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে মিছিল সহকারে সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশে উপস্থিত কৃষকগণ জানান, উচ্চ মূল্যে সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ কিনে চাষাবাদ করে, ফসল বিক্রির টাকায় তাদের খরচ উঠে আসে না। দ্রুত সার, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম কমানোর দাবি করেন।